কলকাতা: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের কী ভূমিকা, তা জানতে এবার তদন্ত করতে চায় ইডি। তার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডি আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই মামলার অভিযোগ যেহেতু দিল্লিতে নথিভুক্ত হয়েছে, তাই আবেদনও দিল্লিতে করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গরু পাচারের টাকা আদতে কোন কাজে লাগানো হয়েছে, তা জানতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গরু পাচার মামলায় সরাসরি যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে। এর আগে গ্রেফতার করা হয় এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এরপর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, কেষ্টর বিপুল টাকার সম্পত্তি খোঁজ মিলেছে তদন্তকারীদের। এই মুহূর্তে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের দাবি, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি আসরে নামতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
উল্লেখ্য, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও ইডির স্ক্যানারে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’দিন আগেই সায়গল হোসেনের বীরভূমের ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন আবাসন শাওন সুধায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়গলের। এই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার হয়। তা থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পান। সেই সূত্রেই এবার আর্থিক উৎসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সায়গলকেও কি তদন্ত করবে ইডি?