কলকাতা: বারবার ডাকা হচ্ছে। কিন্তু এখনও হাজিরা দিচ্ছেন না অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এই অবস্থায় আজও হাজিরা এড়ালে বিপদ বাড়তে পারে মানিকেরই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন তদন্তকারীরা। ইডির শেষ তলবের পরও পেরিয়ে গিয়েছে দেড় সপ্তাহ। এখনও বেপাত্তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বন্ধ তার মোবাইল ফোনও। টানা কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব এড়াচ্ছেন তিনি। তবে কি এবার গ্রেফতারির পথে হাঁটবে ইডি? উঠছে সেই প্রশ্ন।
গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য ইডি-র মুখোমুখি হন। মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। সেই নিয়েই মানিককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তারপর ১৫ অগস্ট ইডি ডাকলেও হাজিরা এড়ান মানিক। তারপর থেকেই অদ্ভুতভাবে বেপাত্তা মানিক। বন্ধ মোবাইল ফোনও। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার বিধানসভায় দেখা যায় মানিককে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুই প্রাক্তন কর্তা। তারমধ্যেই বুধবার প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। চলে জিজ্ঞাসাবাদও। সিলও করে দেওয়া হয় সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সুবীরেশ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তবে তার আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার কি তেমনই পরিণতি হবে মানিকের? কল্যাণীর বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে ইডির টিম। পলাশীপাড়ায় মানিকের বাড়িও সিল করার সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে।