নদিয়া: রাস্তার ধারে উপুড় হয়ে পড়েছিল দেহটা। দেহে একাধিক ক্ষত ছিল। রক্ত বের হচ্ছিল। সাতসকালে পথচলতি সাধারণ মানুষই বিষয়টি প্রথমে দেখতে পান। তাঁরা দেখে যুবককে চিনতে পারেননি। প্রথমেই তাঁরা খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। রাস্তার ধার থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার গাঙনাপুর থানা এলাকায় পটুখালিতে।
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে কাজে যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ওই যুবককে দেখতে পান। উপুড় হয়ে পড়েছিল দেহটা। বৃষ্টিভেজা সাতসকালে এমন একটা দৃশ্য দেখেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন।
যুবক উপুড় হয়ে থাকায় প্রথমে তাঁর মুখ দেখতে পারছিলেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদেরই একজন খবর দেন থানায়। গাঙনাপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মুখ দেখে চিনতে পারেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই যুবক এলাকার নয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
যুবকের জামা-কাপড় সার্চ করেও কোনও নথি পায়নি পুলিশ। ফলে এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতের পরিচয় না জানতে পারলে, খুনের মোটিভও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
আপাতত পুলিশ মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায়, গলায়-বুকে-গালে কোপের চিহ্ন রয়েছে। খুনের তদন্ত শুরু করেছে গাঙনাপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো দেখে চিনতে পারলাম না। মনে হচ্ছে আশপাশের এলাকার নয়। কোথাও খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।”