Anubrata Mondal: ‘অনুব্রতর ইচ্ছে ছিল এক ঘর টাকার, আর এখন…’, ‘কেষ্ট কাকার’ ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস অনুপমের!
Anubrata Mondal: রবিবার অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর দাবি, ৩-৪ হাজার কোটি টাকার মালিক অনুব্রত মণ্ডল। এককালের রাজনৈতিক সতীর্থর প্রসঙ্গে অনুপম হাজরার এ হেন মন্তব্যের পর জোর হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কলকাতা : গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর তারপর থেকেই একের পর এক বাক্যবাণে রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিদ্ধ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকেও। রবিবার অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর দাবি, ৩-৪ হাজার কোটি টাকার মালিক অনুব্রত মণ্ডল। এককালের রাজনৈতিক সতীর্থর প্রসঙ্গে অনুপম হাজরার এ হেন মন্তব্যের পর জোর হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এক ঘর টাকার ইচ্ছে ছিল অনুব্রতর: অনুপম হাজরা
টিভি নাইন বাংলার অনুপম হাজরা বলেন, “যখন তৃণমূল করতাম, যখন ওনার (অনুব্রত) ঘনিষ্ঠ ছিলাম, তখন উনি ওনার সাগরেদদের বলতেন, জীবনে একটাই ইচ্ছে। একঘর টাকা হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ওনার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছেটা কী। কিন্তু এই একঘর টাকা কবে এক জেলা টাকা হয়ে গিয়েছে, তা উনি নিজেও বুঝতে পারেননি।”
কোথা থেকে এসেছে ৩-৪ হাজার কোটি? ব্যাখ্যা দিলেন অনুপম
অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি নিয়ে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেছেন, অনুব্রতর নাকি ৩-৪ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু কীভাবে এত টাকা এল তাঁর কাছে? সেটিও ব্যাখ্যা করে দিলেন অনুপম হাজরা। বিজেপি নেতার কথায়, “ওনার বিভিন্ন সোর্স অব ইনকাম বীরভূমে। কয়লা, বালি, পাথর, টোল, রাইস মিল এবং মেডিক্য়াল কলেজ ও টেকনিক্য়াল ইনস্টিটিউট যেখানে তিনি ইনভেস্ট করেছেন, সেই সব থেকে টাকা আসত। এছাড়া বিধায়ক-সাংসদদের টিকিট দিয়ে টাকা কালেক্ট করা হত। এসএসসি, টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে টাকা কালেক্ট করা। এই সব মিলিয়ে ৩-৪ হাজার কোটি টাকা অবশ্যই হবে।”
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের মেয়ের নামে যে দু’টি সংস্থা রয়েছে, তার কথা আগেই প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। সেই সংস্থাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে অনুপম হাজরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই কোম্পানিগুলি খোলাই হয়েছিল কালো টাকাকে সাদা করার জন্য। উনি হয়তো একটু বোকামি করে ফেলেছিলেন। নিজের মেয়ের কোম্পানির নামেই হয়ত কালো টাকা ঘোরাতে গিয়েছিলেন।”
কীভাবে ‘কালো টাকা’ সাদা হত? কী জানেন অনুপম?
বিজেপি নেতার মতে, “বীরভূমে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেদের সমাজসেবী বলে দাবি করেন। তাঁদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওনার (অনুব্রত) টাকা লেগে আছে। এছাড়া অন্য়ান্য জেলা বা রাজ্যতে হয়তো কোনও সম্পত্তি থাকতে পারে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে জায়গা আছে, তার থেকেও বেশি সম্পত্তির মালিক অনুব্রত বাবু।”
প্রসঙ্গত অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে ফোন গিয়েছিল অনুুপমের কাছে। সেই মতো ৭২ জনের একটি নামের তালিকা তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। অনুপমের দাবি অনুযায়ী, সেই তালিকায় অনুব্রত বাবু ছাড়াও বাকি যাঁরা যাঁরা সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল