কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে ‘অপরাজিতা বিল’ পাঠিয়েছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম মেনেই রাজভবনে গিয়েছে সেই বিল। কিন্তু এই বিলের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ভাবে বিল পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও।
বিধানসভা কোনও বিল পাশ হলে তা নিয়মানুসারে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। এবারও অপরাজিতা বিলের ক্ষেত্রে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এভাবে বিল পাঠানোর ঘটনা অতীতে ঘটেনি।
রাজনীতির কারবারিদের অনেকের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৌশল হিসেবেই এই কাজ করেছে শাসক দল। একটি বিলের আলোচনায় মূল বিষয়গুলো কীভাবে সমর্থন করা হয়েছে, কারা সমর্থন করেছে, আলোচনায় কী কী উঠে এসেছে- সেই সব নিয়ে একটা বিস্তারিত তথ্য লেখা থাকে। তারপর স্পিকারের স্বাক্ষর থাকে। তার সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রতিলিপি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
বিলে সম্মতি মিলবে বলেই আশা করছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজ্যপাল এই বিলে সম্মতি দেবেন বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যে দাবি করে আসছে, তাকে মান্যতা দিয়ে সঠিক সময়ে বিল পাশ হয়েছে। কেন্দ্রেরও উচিত আইন পরিবর্তন করে ফাঁসির সাজা আনা উচিত। কেন্দ্র আগে আইন তৈরি করলে আমাদের আর করতে হত না।”