Arpita Ghosh: সাংসদ পদ ত্যাগ করা নিয়ে মুখ খুললেন অর্পিতা, দিলেন নাটকে ফেরার ইঙ্গিত

কলকাতা: সাংসদ পদ ছেড়েছেন। দল ছাড়ারও চিন্তাভাবনা রয়েছে কি? দিনাজপুরের রাজনীতিতে আপাতত ঘুরপাক খাছে একটাই প্রশ্ন। ২৪ ঘণ্টা আগে যখন অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন, তখনই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলেনি। যদিও পদত্যাগের একদিন পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মুখ খোলেন পদত্যাগী এই সাংসদ। দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, আপাতত সংগঠনেই মন দিতে চান, দিল্লিতে থেকে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই কারণে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা।

অর্পিতা বলেন, “আমি সংগঠনের কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি লোকসভায় থেকেছি, দল আমাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ে আমি সংগঠনে থেকে দলের জন্য বেশি কাজ করতে পারব। সেটাই আমি দলকে জানিয়েছিলাম, সবুজ সঙ্কেত পেলে আমি অভিষেককে একটি চিঠি লিখি। এবং তিনি সেটা গ্রহণ করার পরই আমি সরকারিভাবে ইস্তফা দেই। ২০২৪ সালটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার মনে হয়েছে সংগঠনের হয়ে কাজ করাটাই বেশি জরুরি।”

ভবিষ্যতে কী হবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা অবশ্য জিইয়ে রেখেছেন বিশিষ্ট এই নাট্যব্যক্তিত্ব। নতুন করে লোকসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন কি না, সেই নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু ২০২৪ সালের ভোটে নিজের ‘ক্ষুদ্রতম অবদানও’ তাঁর জন্য দামী বলে উল্লেখ করেছেন অর্পিতা।

বুধবার যখন প্রথম অর্পিতা ইস্তফা দেন, তখন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ তিনি করেছেন। যদিও এ দিন সেই জল্পনা হেসেই উড়িয়ে দেন অর্পিতা। তিনি বলেন, “শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে এই ব্যাপারে কোনও কথাই বললেননি। এটা পুরোপুরি আমার সিদ্ধান্ত। আমার নাটকটা অনেকদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছিল, সেটা আমি মন দিয়ে করতে চাইছি। পাশাপাশি সংগঠনের কাজটা করেও আমি আনন্দ পাই। তাই আমি সেটা দলকে জানিয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন: RG Kar-এ হচ্ছেটা কী? খোঁজ নিলেন মমতা! ‘স্যরের’ পাশে দাঁড়িয়ে হবু ডাক্তাররা বললেন…

রাজ্য রাজনীতিতে যদিও অর্পিতার দলবদল নিয়ে জল্পনা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বিজেপি এই নিয়ে খুব একটা পরোয়া করছে না। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার মনে করছেন, অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করার পেছনে নিশ্চই কোনও কারণ আছে। “কেননা ভাল মানুষরা তৃণমূল দলটা করতে পারে না৷” বলেন তিনি। যদিও অর্পিতা ঘোষ জেলার কোনও দায়িত্ব পেলেও জেলা বিজেপির উপর কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: Mystery Fever: শিশুদের উপর কি তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হানা? অবশেষে জানাল স্বাস্থ্য ভবন