RG Kar-এ হচ্ছেটা কী? খোঁজ নিলেন মমতা! ‘স্যরের’ পাশে দাঁড়িয়ে হবু ডাক্তাররা বললেন…

RG Kar Hospital: যে হবু চিকিৎসকেরা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়ে গিয়েছে।

RG Kar-এ হচ্ছেটা কী? খোঁজ নিলেন মমতা! 'স্যরের' পাশে দাঁড়িয়ে হবু ডাক্তাররা বললেন...
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 12:55 AM

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু ঠিক কী নিয়ে? বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিক্যাল সুপাররা হাজির ছিলেন। পাশাপাশি আজকের বৈঠকে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে দু’জন করে জুনিয়র চিকিৎসককেও থাকতে বলা হয়েছিল। তবে যে হবু চিকিৎসকেরা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়ে গিয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের একাংশ জানিয়েছেন, সম্প্রতি আরজিকরের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। হাসপাতাল জুড়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি ঘিরে পড়া পোস্টার সরাতে গিয়ে ছাত্রদের হাতে ঘেরা‌‌ও হতে হয় আরজিকরের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। অসুস্থ হয়ে আইসিইউ-তে ভর্তিও হতে হয় তাঁকে। সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও হাসপাতালে ঢুকতে পারেননি অধ্যক্ষ।

ছাত্রছাত্রীদের অবশ্য দাবি, ‘ওয়ার্ক ফ্রম স্বাস্থ্য ভবন’ করছেন প্রিন্সিপাল। সেই সব ঘটনাক্রমের সূত্র ধরেই গণ্ডগোলের কারণ সম্পর্কে আরজিকরের অধ্যক্ষের কাছে বিশদে বিষয়টি জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত আরজিকরের হবু চিকিৎসকেরা জানান, হস্টেল তহবিলের অপব্যবহার করে টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁদের ‘স্যর’। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাংশ। সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যকে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ ছাড়া শোভাবাজারে অবস্থিত অবিনাশ মাতৃসদন কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সেখানে কয়েকটি বিভাগকে স্থানান্তরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ। এন‌আর‌এসের তরফে জানানো হয়, হাসপাতাল চত্বরে একটি ১০ তলা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সেটি তৈরি হতে দু’বছর সময় লাগবে। এক বছরের মধ্যে যাতে সেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়, সেই অনুরোধ করেছেন এন‌আর‌এসের অধ্যক্ষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হস্টেল বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালের সম্প্রসারণের কথা বলেছে। এক‌ই অনুরোধ করেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষাও।

কোন হাসপাতালের কোন কোন হবু চিকিৎসক হাজির ছিলেন বৈঠকে? রইল সেই তালিকা…