Mystery Fever: শিশুদের উপর কি তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হানা? অবশেষে জানাল স্বাস্থ্য ভবন

Mystery Fever: শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগের যে কিছু নেই, তা বোঝাতে গত তিন বছরের পরিসংখ্যান পেশ করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

Mystery Fever: শিশুদের উপর কি তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হানা? অবশেষে জানাল স্বাস্থ্য ভবন
প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 9:18 PM

কলকাতা: রাজ্যজুড়ে অজানা জ্বরের প্রকোপ তুঙ্গে। যে সময় এই প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে, তখনও কোনও না কোনও জেলায় একাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে বিশেষ উদ্বিগ্ন নয়, সেটা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর বিবৃতির মাধ্যমেই স্পষ্ট। বিষ্যুদবার সন্ধ্যায় অবশ্য একটি বিষয় তিনি স্পষ্ট করেছেন। সেটা হল- করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা নেহাতই অমূলক।

উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বরের প্রকোপের কারণে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগের যে কিছু নেই, তা বোঝাতে গত তিন বছরের পরিসংখ্যান পেশ করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য ভবনের ব্যাখ্যা, “আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে ইনফ্লুয়েঞ্জা, আর‌এস ভাইরাস, ডেঙ্গি বা শ্বাসকষ্টজনিত যে সকল অসুখের প্রমাণ মিলেছে, তা বছরের এই সময়ে স্বাভাবিক ঘটনা। সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাজ্যস্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কোন‌ও বিশেষ রোগের প্রকোপ পায়নি।”

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটার দরুণ খুব স্বাভাবিকভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রাজ্যবাসীর মনে জাঁকিয়ে ধরেছিল। যে ঢেউ শিশুদের আঘাত হানবে বলে নানা মহলে দাবি করা হচ্ছিল, সেটাই কি এসে হাজির হল? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা এই দিক থেকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, “হাসপাতালে ভর্তির সময় প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত ১৭ মাসের এক শিশু কেবল কোভিড পজিটিভ হয়েছে।”

রাজ্য বরং এই জ্বরকে খানিকটা ‘মরসুমি’ বলেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছে। গত তিন বছরে কত সংখ্যক শিশু একই ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল, সেই পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। সরকারি বিবৃতিতে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, “জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ১১৯৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ২০১৭ সালে সংখ্যাটা ছিল ২২৭৯।২০১৮ সালে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ২০৪৯ জন। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ২০৮৩। গত বছর ৬৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।”

মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, বোঝাতে আগের বছরের মৃত্যুর পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন স্বাস্থ্যকর্তা। “২০১৭ সালে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। ২০১৯-২০ সালে কমবয়সী শিশুদের মধ্যে কার‌ও মৃত্যু হয়নি। এ বছর যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের জন্মগত হৃৎপিণ্ডের অসুখ ছিল। আরেক শিশু কম ওজনের পাশাপাশি দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা ছিল।” এমনটাই জানিয়েছেন অজয়বাবু।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: কোভিড বিধি ভেঙেছেন মমতা! কমিশনকে নালিশ প্রিয়াঙ্কার এজেন্টের

যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি জানান, পরিস্থিতির উপরে স্বাস্থ্য ভবনের কড়া নজরদারি রয়েছে। শুক্রবার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য উত্তরবঙ্গ যাচ্ছে রাজ্য স্তরের প্রতিনিধি দল। বলাই বাহুল্য, ডেঙ্গি, কোভিড আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশে স্বাস্থ্য দফতরের নিমরাজি মনোভাব সম্পর্কে প্রায় সকলে অবহিত। এবার শিশুমৃত্যু নিয়েও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রশ্নের মুখে।

আরও পড়ুন: ‘অজানা জ্বরে কারও মৃত্যু হয়নি’, দাবি স্বাস্থ্য সচিবের