কামারহাটি: লক্ষ্য ২০২৬। তার আগেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেধে দিয়েছেন এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। আর সেই টার্গেট পূরণ করতে হবে তো? তাই কোনও বাদ রাখছেন না কোনও কিছুই। এবার বিয়েবাড়িতে গিয়েও সদস্যকরণ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাও আবার কামারহাটি। অর্থাৎ এই জায়গার নাম শুনলেই প্রথমে মনে আসে এলাকার মদন মিত্রের কথা। ফলত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, মদনের ‘ডেরায়’ গিয়েই এবার এই সদস্যকরণ করলেন বিজেপি নেতা।
বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনের মোটেই ভাল ফল হয়নি বিজেপির। জেতা সিটও হারতে হয়েছে এ রাজ্যে। পর্যুদস্ত হয়েছেন দিলীপের ঘোষের মতো নেতারা। এক সময় যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন সেই সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিকদেরও ভরাডুবি হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে ২৬-এর ভোটে কোনও ‘অজুহাতই’ মেনে নেবে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই কারণে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
আর সদস্য সংগ্রহের এই গুরু দায়িত্ব এসে পড়েছে শমীক ভট্টাচার্যের কাঁধে। দলের পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,অতীতে বিজেপির সদস্য হননি, এমন ব্যক্তিদের সংগঠনে টেনে আনতে হবে। প্রয়োজনে কলকাতা সহ রাজ্যের জনবহুল এলাকায় ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। কলেজ পড়ুয়া,মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী, চা বাগানের কর্মী,পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী ও পরাজিত,পুজারী,খেলোয়াড় ও ক্লাব, অটো ড্রাইভার ও হকার সহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে এই সদস্য পদ দিতে হবে।
এরপর শনিবার দেখা গেল কামারহাটিতে বিয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিজেপির সদস্যকরণ করালেন শমীক। নববধূকে বিজেপির সদস্যতা গ্রহণ করালেন তিনি। বিধায়র মদন মিত্রর কামারহাটিতে এই সদস্যপদ সংগ্রহ নিতান্তই উল্লেখ যোগ্য।