কলকাতা: নবান্নের নির্দেশিকার পরেই তৎপর কলকাতা পুরসভা। আজ ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের জায়গা পরিদর্শনে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কথা বললেন রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে। পুরসভার তরফে তিনটি ৪৯৬A নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকদের ডেপুটি মেয়র বলেন, “হয় আপনারা জায়গা পরিষ্কার করুন, নয়তো আমরা পরিষ্কার করে দেব। সেক্ষেত্রে আপনাদের বিল ধরাব আমরা। পুরসভার সেই বিল মেটাতে হবে আপনাদের।”
রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে তেমনি ইঙ্গিত মিলেছে। এতদিন ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে পঞ্চম স্থানে ছিল কলকাতা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা। শহরের ডেঙ্গির বার বারন্তের কারণ খুঁজতে গিয়ে সম্প্রতি একটি সার্ভে করে কলকাতা পুরসভা।
দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গির হাঁটুর ঘর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারই আবাসন ও সংস্থাগুলি। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের সংস্থার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া গেলেও বাকি থেকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলি।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় সেই সমস্ত সংস্থাগুলিতে প্রবেশ করতে পারছে না পুরসভার কর্মীরা। সম্প্রতি এই সমস্যাগুলো নিয়েই নবান্নে তড়িঘড়ি ছুটির দিনে স্বাস্থ্য সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা এছাড়া রাজ্যের ডিএমরা। সেই বৈঠকের পর রাজ্যের পুরসভাগুলির উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, সেই গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে যে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন অথবা অফিসের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে সমস্যা হচ্ছে, পুরসভা গুলি সরাসরি সেই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে অথবা চিঠি দিতে পারে। নবান্নের এই নির্দেশিকা পাওয়ার পরই বুধবার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কামারডাঙ্গা রোডে রেলের একটি জায়গায় পরিদর্শনের যাচ্ছেন ডেপুটি মেয়র তথা কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। নির্দিষ্ট ওই রেলের জায়গাটি নিয়ে বহুদিন ধরেই অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ উঠে আসছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।