Haridevpur murder case: মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ভিডিয়ো দেখিয়ে মেয়েকে চাপ! কেন আগে জানালেন না! অনুশোচনা বান্ধবীর বাবার
Haridevpur murder case: হরিদেবপুর-কাণ্ডে পুলিশি জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ত্রিকোণ সম্পর্কের কথা স্পষ্ট হয়েছে অভিযুক্তদের বয়ান থেকেই।
কলকাতা : অয়ন মণ্ডলের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে গিয়ে একদিকে পুলিশ মনে করছে, ২১ বছরের যুবককে খুন করা হয়েছে পরিকল্পনা করেই। আর অন্যদিকে, ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের বিষয়টি। বান্ধবী ও তাঁর মা, দুজনের সঙ্গেই যে অয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, সেটা ধৃতদের বয়ান থেকে অনেকাংশেই স্পষ্ট হয়েছে। আর এবার পুলিশি তদন্তে উঠে এল আরও বিস্ফোরক তথ্য। ঘটনার পরম্পরা সাজালে যে ছবিটা সামনে আসছে, তা হার মানাবে সেলুলয়েডের গল্পকে। বান্ধবী নয়, তাঁর মায়ের সঙ্গেই নাকি প্রথমে সম্পর্ক তৈরি হয় অয়নের। আর তার জেরেই চাপের মুখে বান্ধবীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়। হরিদেবপুরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে এমন তথ্যই উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের হাতে। আর এ সব কথা জানতে বাকি ছিল না পরিবারের কারও। আগে কেন পুলিশের কাছে এ সব জানালেন না! রীতিমতো অনুশোচনা করছেন বান্ধবীর বাবা। পুলিশ সূত্রের এমনটাই জানা গিয়েছে।
অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা, বাবা, ভাই ও ভাইয়ের বন্ধুদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাতেই উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় অয়নের। অভিযোগ, পরবর্তীকালে মায়ের সঙ্গে তোলা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখিয়ে মেয়েকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন অয়ন। আর এই অভিযোগ নাকি নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই চলছিল। পরবর্তীকালে মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করে অয়ন মণ্ডল। তারপর থেকেই টাকার জন্য ব্ল্যাকমেইলিং করা হতো বলে জেরায় দাবি করেছেন বান্ধবী ও তাঁর পরিবার।
বান্ধবীর বাড়ির সামনের গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তদের দাবি, পাশের বাড়ির পিছন দিক থেকে লুকিয়ে ঘরে প্রবেশ করতেন অয়ন মণ্ডল। বান্ধবীর বাবার দাবি, তিনি নাকি বারবার স্ত্রী ও মেয়েকে বলেছিলেন থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে নাকি তাঁরা সেগুলো জানাতে পারেননি তখন। পুলিশ সূত্রে খবর, বান্ধবীর বাবা এখন অনুশোচনা প্রকাশ করছেন, কেন আগেই অভিযোগ জানানো হল না, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি হত না বলেই মনে করছেন তিনি।
বান্ধবীর বাবা আগেই পুলিশকে জানিয়েছেন, অয়ন জোর করে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর সেই ছবি দেখিয়ে তাঁর মাকেও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আত্মসম্মান রক্ষার জন্যই যে তাঁরা এতদিন সব চেপেছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁরা মেয়েকে বাইরেও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। অয়নের অভিভাবকদেরও ঘটনার কথা জানানো হয়েছিল।