AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ayan Sil: অভিষেকেই মোটা টাকার পারিশ্রমিক! সবটাই চাকরি চুরির টাকা: ইডি

Ayan Sil: প্রথম সিনেমাতেই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অয়ন-বান্ধবী। ইডি-র কাছে সে খবরই এসেছে।

Ayan Sil: অভিষেকেই মোটা টাকার পারিশ্রমিক! সবটাই চাকরি চুরির টাকা: ইডি
শ্বেতা চক্রবর্তী
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 12:24 PM
Share

কলকাতা: কুন্তল ,শান্তনুর পরে অয়ন শীলেরও টলিউড যোগের প্রমাণ এসেছে ইডি আধিকারিকদের হাতে। যোগ রয়েছে ইম্পার সঙ্গেও। এবার ইডি-র হাতে আরও বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য। চাকরি চুরির টাকাতেই সিনেমা বানিয়েছিলেন অয়ন শীল। অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড’ বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেতেন। সেই সংস্থাই ছিল ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে। ওই ছবিতেই ডেবিউ করেছিলেন অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। আর প্রথম সিনেমাতেই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অয়ন-বান্ধবী। ইডি-র কাছে সে খবরই এসেছে।

নামকরা অভিনেত্রী না হওয়া সত্ত্বেও প্রথম ছবিতে যে টাকা পাওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়েছিলেন শ্বেতা। অন্তত তাঁর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তাই বলে। ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটেই গোটা বিষয়টি জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবিএস ইনফোজোন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা হিসাবে হুগলির ঠিকানায় নথিভুক্ত থাকলেও এই সংস্থার মাধ্যমেই প্রযোজনার কাজ শুরু হয়েছিল। অফিস দেখানো হত সল্টলেকের এফডি ব্লকের ঠিকানায়। এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে টিভি সিরিয়াল বানাতেও চলেছিলেন অয়ন।

সূত্রের খবর, ২০২০ সালে টিভি সিরিয়াল প্রোডাকশনে ব্যবসার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে অয়নের সংস্থার মউ স্বাক্ষর হয়। এসবের মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টায় ছিলেন। আউটডোর শুটিং এর জন্য ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতিকে চিঠি দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, কুন্তল ঘোষের মতোই ইম্পার সঙ্গেও অয়নের যোগাযোগ ছিল বলে দাবি ইডির।

ইডি আধিকারিকদের কাছে এসেছে একটি গাড়ি কেনার মানি রিসিপ্টও। শুধু অয়নেরই নয়, তিনি যে গাড়ি উপহার হিসাবে শ্বেতাকে দিয়েছিলেন, তারও মানি রিসিপ্ট পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

আসলে অয়নের নামে যে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে, তা আসলে সিনেমা বানাত। সেটারই অফিস করা হয়েছিল সল্টলেকে। যেখানে ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে দুর্নীতির একাধিক নথি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।