কলকাতা: বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়ণের একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসছে। পদ্মাপাড়ে হানাহানির মাঝেই চলছে ধর্ম নিয়ে টানাটানি। জোর করিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলছে ধর্মান্তকরণ। হিন্দুদের অভিযোগ, প্রাণনাশের ভয়েই ধর্ম বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এবার বিস্ফোরক অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রদেশ অধ্যক্ষ পরমাত্মানন্দজী মহারাজ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ এখন ধর্মান্তকরণের অন্য উপায় ব্যবহার করছে। আর সেটার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে তিন চার মাস আগে থেকেই। তিনি এও সতর্ক করেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির।
মহারাজ বলেন, “আমি তিন চার মাস আগে থেকেই বারবার বলছিলাম। কেননা বাংলাদেশ ধাপে ধাপে ইসলামিকরণের দিকে চলছে। যখন চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে, লুঠতরাজ, ধর্ষণের পরও বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ইসলামিক স্টেট করা যাচ্ছে না, সারা পৃথিবীর দৃষ্টি পড়ছে, তখন তাঁরা একটা নতুন উপায় ব্যবহার করছে। সেই উপায়টা হল আইনের পথ ধরে একদম হলফনামা দিয়ে ইসলামিকরণ করা।”
আর সেক্ষেত্রে প্রথমেই টার্গেট করা হচ্ছে মহিলাদের। মহারাজ বলেন, “যদি একটা পরিবারে ২-৩ জন মেয়ে থাকে, তাহলে ১-২ জনকে ইতিমধ্যেই বিয়ে করে নিচ্ছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিংবা ভয় দেখিয়ে। এটা অনেকদিন ধরে চলছে। একটা পরিবারকে ইসলামি করতে হয়, তাহলে মেয়েদেরকে আগে ইসলামি করতে হয়। কারণ বিয়ের পর সেই মেয়ের যে সন্তানরা হবে, সবাই ইসলামি হবে। ”
ইউনূসকে চরম কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মুখোশধারী ইউনূস সরকার যা করছে, শান্তির নামে নোবেল নিয়ে যে অশান্তির আগুন দেশ, পৃথিবীতে ছড়াচ্ছে, তা ক্ষমা করবে না ইতিহাস। ইউনূস এটাকে আইনসিদ্ধ করে নিচ্ছে। যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে দুর্বল হলেও একটা যুক্তি খাড়া করতে পারে, ওই সমস্ত মানুষগুলো স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছে। এত বড় আত্মপ্রবঞ্চনা ইতিহাসে দেখা যায়নি।”
ভারত সরকারের কাছে তিনি আবেদন করে বলেন. “ভারত চতুর্থ শক্তিশালী রাষ্ট্র। শুধু একটা বড় সংস্থায় স্থায়ী সদস্য হয়েই থেকে গেলে হবে না। আজকে চরম বিপদ। হিন্দুর বিপদে কেন্দ্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারিভাবে যা যা করা সম্ভব, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পদক্ষেপ করতে হবে।”