কলকাতা: শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা সাগরদিঘি (Sagardighi)। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক পুরভোট, উপ নির্বাচনে জয়ে যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের, তাতে নাকি ধাক্কা দিয়েছে সাগরদিঘি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দলের মধ্যে চলছে পর্যালোচনাও। আর শুক্রবার যে দিন কালীঘাটে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাকতালীয়ভাবে বদল হল সেই সাগরদিঘির বিডিও। এদিনই বদল হয়েছে রিটার্নিং অফিসারও।
মোট ৪৪ টি বিডিও পদে রদবদল হয়েছে রাজ্যে। নবান্ন থেকে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে সাগরদিঘির। সাগরদিঘির বিডিও পদে ছিলেন সুরজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়। এবার সেই পদে এলেন সঞ্জয় শিকদার। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন মুর্শিদাবাদের ডিএলআরও দিব্যেন্দু মজুমদার।তাঁকেও বদলি করা হল নবান্নের তরফে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, সাগরদিঘির উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশ খুব বেশিদিন আগে হয়নি। গত ২ মার্চ ফল প্রকাশ হয়। তৃণমূলের হাতে থাকা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এই ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল সুপ্রিমো দলীয় নেতৃত্বকে পর্যালোচনার কথা বলেছিলেন। পর্যালোচনার জন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে।
শুক্রবারের বৈঠকেও সেই ফলাফলের প্রসঙ্গ উঠেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, সাগরদিঘির ভোটের দিন নাকি বহু বুথ থেকে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টরা মাঝপথে বেরিয়ে যান। সেই তথ্য নাকি মিটিং-এ জানিয়ে মমতা কৈফিয়ত চেয়েছেন মমতা, জানতে চেয়েছেন কেন এজেন্টরা বেরিয়ে গেলেন? সাগরদিঘির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা খলিলুর রহমানকে নেত্রী ভর্ৎসনা করেছেন বলেও সূত্রের খবর।
তবে সূত্রের খবর, মমতা নাকি বৈঠকে বলেছেন, সাগরদিঘির রেজাল্ট নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই। চলার পথে মাঝে মাঝে এই রকম হোঁচট খেতে হয়।