নন্দীগ্রামে ‘প্রার্থী’ মমতার ভোট প্রচারে বিশেষ ‘টিম’ তৃণমূলের
রাজনৈতিক মহল বলছে, এবার নন্দীগ্রামে ভালই টক্কর হবে তৃণমূল-বিজেপির। দু'পক্ষই যুযুধান মাটি দখলে। তৃণমূলের প্রার্থী এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও যে এ কেন্দ্রে চমক রাখবে তা অনুমেয়।
সৌরভ গুহ ও সায়ন্ত ভট্টাচার্য: এবারের বিধানসভা ভোটে হাইভোল্টেজ আসন নন্দীগ্রাম (Nandigram)। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই আসনে তৃণমূলের মুখ। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারের নীল নকশা তৈরি করে ফেলেছে শাসকদল। সূত্রের খবর, মমতার ভোটপ্রচারে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হচ্ছে। যে দলে থাকছেন কলকাতার একাধিক প্রথম সারির নেতা। এর মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা যাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
সুব্রতবাবুর জন্য কতটা চ্য়ালেঞ্জিং এই প্রচার-কর্মসূচি। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া, ”প্রার্থী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন শক্ত বলে কিছু নেই। মানুষের কাছে যাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলব। ওনাকে যাতে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জেতান, নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে সেই আবেদন করব।”
ভোটের বাংলা সরগরম। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নন্দীগ্রামে প্রচার শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাসের একেবারে প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে প্রচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার শুরু করবেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনদিন নন্দীগ্রামে পড়ে থেকে প্রচার করবেন সুব্রত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনসংযোগও করবেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতেই নন্দীগ্রামে যাওয়ার সম্ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: বাস ধর্মঘট ঠেকাতে বাস মালিকদের সঙ্গে আজই বৈঠকে মুখ্যসচিব
গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তেখালির সভা থেকে মমতা নিজেই জানিয়েছিলেন, এ কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তিনি। সঙ্গে এও বলেছিলেন, অন্যান্য কাজের জন্য খুব বেশি তিনি প্রচার করতে পারবেন না। তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলনেত্রীর হয়ে প্রচার করবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। এ জন্য কলকাতা থেকে একটি বিশেষ টিম তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
ভোটযুদ্ধে মমতার হয়ে ময়দানে থাকবেন তাঁর একাধিক সেনাপতি। কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামের নেতা আবু তাহেরকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বৈঠক করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এখনও অবধি যা খবর, কলকাতার নেতাদের সঙ্গে ভোট প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন আবু তাহের, শেখ সুফিয়ানরা। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার এক প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা বর্তমান বরো কোঅর্ডিনেটর ও এক রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকেও নন্দীগ্রামে গিয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কনকনে হাওয়া, ঘন কুয়াশায় মোড়া আলসে রবিবার
নন্দীগ্রামের জনসভা থেকেই মমতা বলেছিলেন, এই কেন্দ্র তাঁর জন্য ‘লাকি’। তবে এতদিন সে কেন্দ্রে তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে যিনি সাহায্য করেছিলেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীই এবার প্রতিপক্ষ। তাই ‘পয়মন্ত’ নন্দীগ্রামে তৃণমূলের লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে না, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।