বাস ধর্মঘট ঠেকাতে বাস মালিকদের সঙ্গে আজই বৈঠকে মুখ্যসচিব

বাস মালিকরা যদি এখন ধর্মঘটের পথে হাঁটেন তাতে সাধারণ মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ এ ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক।

বাস ধর্মঘট ঠেকাতে বাস মালিকদের সঙ্গে আজই বৈঠকে মুখ্যসচিব
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 24, 2021 | 9:04 AM

কলকাতা: আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে তিন দিন বাস ধর্মঘটের (Bus Strike) ডাক দিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। কর্মব্যস্ত দিনে এই ধর্মঘট নিঃসন্দেহে যাত্রীদের জন্য চরম বিড়ম্বনা। পরিস্থিতি নজরে রেখে রবিবারই বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মোট পাঁচটি বাস মালিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। বিকেল তিনটে থেকে রাজ্য পরিবহণ নিগমের ময়দান তাঁবুতে শুরু হবে বৈঠক।

কয়েকদিন আগেই বাস মালিক সংগঠনের কর্তারা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট, মিনি বাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনগুলির অভিযোগ, যুক্তিহীনভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। লকডাউন, অতিমারিতে এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাস চালাতে গিয়ে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

বাস মালিকদের দাবি, একাধিকবার তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। ভাড়া না বাড়ালে গণপরিবহণ চালানো যে সম্ভব নয়, সে কথাও সরকারকে জানানো হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তুলে বাস মালিক সংগঠনগুলি পরপর তিনদিন ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: কনকনে হাওয়া, ঘন কুয়াশায় মোড়া আলসে রবিবার

সূত্রের খবর, ধর্মঘট আটকাতেই বাস মালিকদের সঙ্গে এদিন আলোচনায় বসতে চলেছেন মুখ্যসচিব। এর আগে বাস মালিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের লোকসানের বোঝা কমাতে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাস মালিক সংগঠনের একটা বড় অংশ অনুদান না নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিনের বৈঠকে আরও একবার সেই আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি উত্থাপিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই অতিমারি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের উপর কোনওভাবেই তিনি অতিরিক্ত অর্থের বোঝা চাপাতে দেবেন না। সবদিক বজায় রেখে এদিন সরকার কোন পথে বাস মালিকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে সেটাই দেখার।