কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই সামনে আসছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের বিদ্রোহ। মঙ্গলবারই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বুধবারই, ফের গ্রুপত্যাগীর তালিকায় আরও এক বিধায়ক। খড়গপুর সদরের তারকা বিধায়ক হিরণ। সদ্যই দল ছেড়েছেন বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী তনুশ্রী রায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য বিজেপি এখন তৃণমূলের বি-টিম। এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ করছেন বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব? রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টই জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের কথা জানেন না তিনি। শুধু তাই নয়, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক বা জেলানেতৃত্ব এধরনের কোনও অভিযোগ করেননি বলেই দাবি সুকান্তর (Sukanta Majumder) ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “আমি বলতে পারব না এ বিষয়ে। কারণত, কোনও সাংসদ বিধায়ক এ ধরনের কোনও অভিযোগ বা প্রতিবাদ করেননি। কারোর যদি কোনও ক্ষোভ তৈরি হয়, তা দলের অন্দরেই মিটিয়ে নেওয়া হবে। এরজন্য গ্রুপ ত্যাগ করে আলাদা করে নজর কাড়ার দরকার নেই। ”
কিছুদিন ধরেই বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ সামনে আসছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক নেতৃত্ব শাসকদলে ভিড় করেছে। পুরভোট মেটার পর দলের আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক বিষয়ে নজর দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ দেখা দেয়। একের পর এক নেতা হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। মঙ্গলবারই হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেন বারবার এভাবে গ্রুপত্যাগী হচ্ছেন একের পর এক নেতৃত্ব? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতের দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে।
আবার বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর হয় রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিকে, জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’