Bengal BJP: ‘ঘাসফুলের বি-টিম, চলন বাঁকা’, বিজেপিতে বাড়ছে ‘বিদ্রোহ’, এ বার দলত্যাগ প্রাক্তন মোর্চা নেত্রীর
Purba Medinipur: নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নবারুণ নিজের কাজের জোরেই দলে সঠিক মর্যাদা পেয়েছেন। কিন্তু, তিনি তা পাননি। দলের চলন সঠিক নয় বলেই অভিযোগ তাঁর
পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপিতে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ! দলের অন্দরের সমীকরণ অন্তত এমনটাই বলছে। এ বার দলত্যাগ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি তনুশ্রী রায়। তাঁর সাফ দাবি, বিজেপি (BJP) এখন তৃণমূলের বি টিম এটি।
বুধবার, রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দল ছাড়েন তনুশ্রী। কেন দলত্যাগ করলেন মোর্চা নেত্রী? তাঁর কথায়, “বিজেপির চলন বাঁকা। তৃণমূলের বি-টিম এটি! শাসকদলের সঙ্গে কোনও ফারাক নেই বিজেপির কর্মকাণ্ডের। সেই কারণেই আমি বিজেপি ত্যাগ করলাম। ” বুধবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্য়ান্ডেলে পদত্যাগপত্রের ছবিও পোস্ট করেন তনুশ্রী।
তবে তনুশ্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি তাঁর স্বামী তথা বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না। তাই কোনওরকম মন্তব্য করতে পারবেন না। একইসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁর কাছে গোটা বিষয়টিই অজ্ঞাত।
তনুশ্রীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নবারুণ নিজের কাজের জোরেই দলে সঠিক মর্যাদা পেয়েছেন। কিন্তু, তিনি তা পাননি। দলের চলন সঠিক নয় বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে বিজেপি ত্যাগ করে তিনি তৃণমূলে আসবেন কি না সে বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তনুশ্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রাজ্যে মহিলা মোর্চার সভাপতির পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তনুশ্রী। ২০০৮ সাল থেকে তিনি বিজেপির সক্রিয় সদস্য। জেলার নানা দলীয় কাজে তাঁকে বরাবর প্রথম সারিতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। নানা কারণে, একের পর এক বিধায়ক হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। সদ্যই, গ্রুপ ছেড়েছেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় গ্রুপ ত্যাগ করেছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। শান্তনুর আগে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক গ্রুপ ত্যাগ করেন। এ বার সরাসরি দলত্যাগ করলেন প্রাক্তন মোর্চা নেত্রী।
গত মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতের দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে।
আবার বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর হয় রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিকে, জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’