Bengal BJP: বাঙালির হয়ে উঠতে হবে, বঙ্গ বিজেপির খাবারের মেনুতে মাছের পদ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Dec 27, 2021 | 8:35 PM

Bengal BJP: কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। তবে এতদিন বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খানাপিনার আয়োজনে থাকত শুধু নিরামিষ পদ। এবার ভোলবদল হল তাদের।

Bengal BJP: বাঙালির হয়ে উঠতে হবে, বঙ্গ বিজেপির খাবারের মেনুতে মাছের পদ!
বঙ্গ বিজেপির অনুষ্ঠানের ভুরিভোজে এবার আমিষ পদ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

অঞ্জন রায়: এতদিন বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খানাপিনার আয়োজনে থাকত শুধু নিরামিষ পদ। এবার যেন ভোলবদল হল তাদের। যেন একুশের শেষে ‘পাল্টাচ্ছে’ বঙ্গ বিজেপি। নিরামিষ পদ ‘আউট’। একুশে বঙ্গ বিজেপির প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠকের লাঞ্চে রাখা হল আমিষ পদ! ছিল ফিসফ্রাই থেকে মাছের বিভিন্ন পদ। বিজেপি নেতা ও কর্মীদের একাংশের আশা, এদিন যে ‘পরিবর্তন’ -এর সূচনা হল, সেই অভ্যাসই চলবে।

একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বার শোনা গিয়েছে বাঙালির দল নয় বিজেপি। তবে বঙ্গ গেরুয়া শিবির বিজেপিকে বাংলার দল হিসাবে তুলে ধরতে মরিয়া। প্রচারে বিভিন্ন কৌশল পাল্টেছে বঙ্গ বিজেপি। যেন ধাক্বা খেয়ে শিখল বঙ্গ বিজেপি। বাঙালায় দল করতে গেলে বাঙালির হয়ে উঠতে হবে। তাদের সংস্কৃতি, মানসিকতার সঙ্গে মানাতে হবে। তাই নিরামিষ খাবার বাদ দিয়ে মেনুতে ইন হল ফ্রিসফ্রাই-সহ মাছের বিভিন্ন পদ।

সোমবার কলকাতার ভাষাভবনে ছিল বিজেপির রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। বাংলার বিধায়ক ও সাংসদরাও এই বৈঠকে আমন্ত্রিত। একুশের পুরভোটের পর কলকাতা পুর নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাই নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতেই এই বৈঠক। তার মধ্যে রয়েছে বিজেপি বিধায়ক, নেতাদের গ্রুপ লেফটের হিড়িক। সেই সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেই এদিনের বৈঠক। আর সেই অনুষ্ঠানের শেষে লাঞ্চে দেখা গেল বড় বদল!

এর আগে কবে কখন বিজেপি কোনও অনুষ্ঠানে দলের নেতা কর্মীদের কমিটি ফ্রিস ফ্রাই বা মাছের পদ খাইয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না কেউ। আসলে বিধানসভা নির্বাচনে বাইরের লোক আর বাইরে খাবার খাইয়ে বাজিমাত করতে চেয়েছিল। সেই সময় ছিল ইডলি, ধোসা আর ভেজ চাউমিনের দাপট। ভোটমুখী বাংলার মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এমনিতে বিজেপি মানে অবাঙালি দল, বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন কমিটিতে কেন্দ্রীয় লোকজন ভর্তি, এমন অভিযোগ বহু বিদ্রোহী নেতার মুখে শোনা গিয়েছে। আবার দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানের মেনুতে আমিষ নাকি নিরামিষ পদ থাকবে এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল বঙ্গ বিজেপি।

সেই ধারার বদল ঘটাতে যেন খাবার দিয়ে শুরু হল। বাংলার সঙ্গে একাত্ম হতে নতুন রাজ্যে কমিটির নতুন ভাবে ভাবছে। তাই বাঙালির প্রিয় মাছ দিয়েই পরিবর্তনের সূচনা হল, বলছে নিন্দুকেরা।

আমিষ খাওয়া ভারতের সনাতন সংস্কৃতির বিপক্ষে। ভারতের সনাতন সংস্কৃতিতে মাংস খাওয়া বা আমিষ খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। বহুবার বহু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার মুখে একথা শোনা গিয়েছে। কিছুদিন আগে মিড-ডে মিলে আমিষ খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই খাওয়ার অভ্যাস শুরু হয়। ছোটবেলা থেকে কেউ যদি আমিষ খেতে শুরু করেন, বড় হলে সে মানুষের মাংসও খেতে পারেন!

তবে বাংলার মানুষের মন জয় করতে হলে বাঙালিয়ানায় জোর দিতেই হবে। এ নিয়ে বহুদিন ধরেই আলাপ-আলোচনা চলছিল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। অবশেষে সোমবার অনুষ্ঠানের পাতে মাছ রেসিপি দিয়ে শুরু হল সেই পরিবর্তন।

আরও পড়ুন: West Bengal Municipal Election 2021: হাওড়াকে বাদ দিয়েই চার পুরনিগমে ভোট ঘোষণা কমিশনের, ২৫ জানুয়ারি ফল

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘প্রত্যেকের একটা সাংবিধানিক এক্তিয়ার আছে’, রাজ্যপালকে মনে করালেন মমতা

Next Article