কলকাতা: বাংলার দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে এবার আন্দোলনের আঁচ যে আরও বাড়বে শনিবারই তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের সঙ্গে এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, “বাংলার আন্দোলনের আঁচ আরও বাড়বে। ওই তো হেরে গিয়েছে দেখেছেন তো। সেই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকরা যখন গিয়েছিল চার ঘণ্টা বসিয়ে রেখে না দেখা করে রাতের বেলা চুলের মুঠি ধরে সবক’টাকে নিয়ে গিয়েছিল। ভগবান হারিয়ে দিয়েছে। তবু আমি বলব, ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করুন।”
কেন্দ্রে এনডিএ জোটই সরকার গড়ছে এবারও। তবে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও এবার খুব একটা নড়বড়ে নয়। অন্তত আসন-গুনতিতে তো নয়ই। ইন্ডিয়া জোটে শরিক তৃণমূল কংগ্রেসও। জোটে আসনের ভিত্তিতে তারা তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। প্রথমে কংগ্রেস, দ্বিতীয় স্থানে সমাজবাদী পার্টি।
গত বছর অক্টোবরের ঘটনা। বাংলার বকেয়ার দাবিতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল তাঁদের। তবে সেই সাক্ষাৎ হয়নি। বরং সেদিন তুলকালাম বাধে দিল্লির কৃষি ভবনে। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
প্রসঙ্গত, সেই সাধ্বীই এবার ভোটে হেরে গিয়েছেন। ফতেপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় এই প্রতিমন্ত্রীকে হারান সমাজবাদী পার্টির নরেশউত্তম পাটেল। এই মমতার বক্তব্যে উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। নাম না করেই সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।