AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘স্বাধীন ভারতে নজিরবিহীন, বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যুর ঘণ্টা শোনা যাচ্ছে’, মমতাকে পত্রাঘাত ধনখড়ের

নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াতে কেনই বা নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন একাধিক প্রশ্ন তুলে পত্রবোমা দিয়েছেন ধনখড়।

'স্বাধীন ভারতে নজিরবিহীন, বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যুর ঘণ্টা শোনা যাচ্ছে', মমতাকে পত্রাঘাত ধনখড়ের
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
| Updated on: Jun 15, 2021 | 5:56 PM
Share

কলকাতা: রাজভবন বনাম রাজ্য সরকারের তিক্ততায় বিরতি নেই। মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি কড়া চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভোটের পর রাজ্যে ঘটে চলা একাধিক হিংসার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে একে ‘স্বাধীন ভারতে ঘটা সবচেয়ে খারাপ ঘটনা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল। হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহেও কেন মুখ্যমন্ত্রী নীরব? কেন তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হল না? নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াতে কেনই বা নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন একাধিক প্রশ্ন তুলে পত্রবোমা দিয়েছেন ধনখড়।

একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতে জড়ানোর ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বহুবার চিঠি চালাচালি হয়েছে দু-পক্ষে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রেকর্ড ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দাগলেন রাজ্যপাল।

একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে দু’পাতার এই চিঠি দিয়েছেন ধনখড়। যেখানে তিনি লিখেছেন, “আমি লক্ষ্য করেছি আপনি ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ক্রমাগত নীরব রয়েছেন। হিংসা জনিত ঘটনায় রক্তপাত ঘটেছে, মানুষের অধিকার খর্ব হয়েছে, মহিলাদের সম্মানহানী হয়েছে, বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। মূলত বিরোধী পক্ষের সঙ্গেই এটা হয়েছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্রে ঘটা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনা।”

আরও পড়ুন: বিধানসভায় শুভেন্দুর ডেপুটি হতে পারেন তৃণমূলত্যাগী নেতা, পিছনের সারিতে আদিরা

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপালের নিজের চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, “আমি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনি নীরব থেকেছেন। এমনকী, মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আপনি এই বিষয়ে কোনও আলোচনাই করেননি। পুলিশ, প্রশাসন এরকম একটি পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব পালন করবে এটাই কাম্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি। উপরন্তু, পীড়িত মানুষরা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ভয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাঁদের আঘাত করা হচ্ছে, যেহেতু তারা বিরোধী দলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।”

চিঠির শেষে রাজ্যপাল রাজ্যের পরিস্থিতিকে ‘মৃত গণতন্ত্রের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “১৩ থেকে ১৫ মে আমি ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলিতে গিয়েছি এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কোচবিহার, নন্দীগ্রাম এবং অসমের রংগোপালী ক্যাম্পে গিয়েছি। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার সঙ্গে সহমত হবেন, এই ধরনের পরিস্থিতি মৃত গণতন্ত্রের মতো শোনায়।” এ বার মুখ্যমন্ত্রীও রাজ্যপালের চিঠির জবাব দেন কি না সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ২৪ ঘণ্টার হুঁশিয়ারিকে গায়েই মাখলেন না মুকুল, বরং বাড়ালেন দল ভাঙানোর জল্পনা