প্লাবিত উত্তরবঙ্গ। একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বেশ কিছু জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কিন্তু ঠিক বিপরীত পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। ভ্যাপসা গরম, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে বটে, তবে ঝাঁপিয়ে এখানে কবে বৃষ্টি নামবে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
শনিবার রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২.২ মিলিমিটার।
ফের ভারী বৃষ্টি হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে উত্তরের নীচু এলাকা। নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিপদসীমা ছাড়াতে পারে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সঙ্কোষ নদীতে। নীচু এলাকার হতে পারে ফসলের ক্ষতি। পাহাড়ি এলাকায় যদি দৃশ্যমানতা কমে যায়, তাহলে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হবে।
ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি।
আজ থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আজ ও কাল, শনি ও রবিবার উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের বিকানির নাড়নাউল, গোয়ালিয়ার সাতনা ডালটনগঞ্জ হয়ে শ্রীনিকেতনের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে ১৬ জুলাই রবিবার। এই ঘূর্ণাবর্তে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা অভিমুখে অগ্রসর হবে।
উত্তরবঙ্গে আজ থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শনি ও রবিবার।