নয়া দিল্লি: ভবানীপুরে (Bhabanipur Bypoll) রেকর্ড ব্যবধানে হারের পর ছাপ্পা ভোট ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিজেপি (BJP)। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা এবং শাসকদলের ভুয়ো নির্বাচনের কারণেই বিজেপি হেরেছে বলে এ দিন দাবি করেছেন অর্জুন। পাশাপাশি ভবানীপুরের হার নিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটারও পরামর্শ দিতে শোনা যায় এই বিজেপি সাংসদকে। রাজধানীতে TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচন সাঙ্গ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ছিল বিজেপি। কোথাও কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছিল। কিন্তু চার মাস কাটতে না কাটতেই সেই কমিশন যেন এখন বিজেপির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি তৃণমূলের পক্ষ নিয়েছিল বলে দাবি করেছেন অর্জুন সিং। সেই সঙ্গে দু-একজন ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত কিছুর পরও কমিশন চোখ বুজে ছিল। ফলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে বলে মনে করছেন শিল্পাঞ্চলের ‘বাহুবলী’।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার মাথায় ছিলেন অর্জুন সিং। যেহেতু তিনি একসময় তৃণমূলেই ছিলেন, তাই তৃণমূল নেত্রীকে দ্বিতীয়বার ধাক্কা দিতে তাঁর উপর আস্থা রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু অর্জুনও লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না। এই ফলাফল নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানানো হবে কিনা সেই সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতের জন্য সেই দরজাও খোলা রাখা হয়েছে।
ভবানীপুরের ভোটে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে এ দিন অর্জুন অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে ৬ জন মহিলা সারাদিন ভুয়ো ভোট দিয়েছে। ওঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে।” এমনটা হয়েছে জানার পরও কমিশনে নালিশ জানানো হয়নি কেন? প্রশ্ন করা হলে পালটা কমিশনের উদ্দেশেই তোপ দাগেন অর্জুন। বলেন, “ওখানে নির্বাচন কমিশনের এ বার কোনও ভূমিকাই ছিল না। বিরোধী দলের সমর্থকদের বাড়ি থেকেও বেরোতে দেওয়া হয়নি।” বলাই বাহুল্য, গত বৃহস্পতিবার ভোটের দিন যে যে অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল তা সবটাই নস্যাৎ করে দিয়েছে কমিশন।