Recruitment Scam: বিচিত্র বিভাস! যে ফ্ল্যাটের সামনে নীলবাতি গাড়ি, বন্দুকধারী রক্ষী থাকত, সেই ফ্ল্যাট এখন ‘ধর্মীয় স্থান’!
Recruitment Scam: জানা গিয়েছে, সেই ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে যেতেন বিভাস। নীলবাতি লাগানো কালো কাচ দেওয়া স্করপিও গাড়িতে চেপে যেতেন। সঙ্গে থাকত বন্দুকধারী দেহরক্ষী।
কলকাতা: ১৮ কার্তিক বোস স্ট্রিট, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিটি অফিস। বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাটের ঠিকানাও এটাই। নিয়োগ দুর্নীতির নেটওয়ার্কে, যে সব সামনে সামনে আসছে, তাতেই এবার নতুন সংযোজন বিভাস চক্রবর্তী। তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। যদিও কুন্তল ঘোষ, গোপাল বা তাপস কাউকেই তিনি চিনতেন না বলে দাবি করেছেন বিভাস। কলকাতেই রয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট।
জানা গিয়েছে, সেই ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে যেতেন বিভাস। নীলবাতি লাগানো কালো কাচ দেওয়া স্করপিও গাড়িতে চেপে যেতেন। সঙ্গে থাকত বন্দুকধারী দেহরক্ষী। আর তিনি নাকি এই ঠিকানায় এলেই ফ্ল্যাটের বাইরে জমত প্রচুর ছেলেমেয়েদের ভিড়। তাদের হাতে থাকত কাগজের ফাইল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েক দিন পর থাকার পর বিভাস যখন ফিরে যেতেন, তখন বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক উঠত তাঁর গাড়িতে। প্রতিবেশীদের বলতেন তিনি ধর্মীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআই মাঠে নামার পর থেকেই এই ফ্ল্যাটে যাতায়াত বন্ধ করেন বিভাস। ফ্ল্যাটের বাইরে থাকা “বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সরে গিয়ে” সেখানে “ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ সাধনপীঠ” লেখা বোর্ড বসানো হয়।
যে আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট সেই সত্যম অ্যাপার্টমেন্টের বাইরেও ওই অ্যাসোসিয়েশনের নাম লেখা একটি বোর্ড ছিল। এই ঠিকানায় যে সিটি অফিস চলতো সেটা কেউ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে, সে জন্য হলুদ বোর্ডে অ্যাসোসিয়েশনের নাম লেখা অংশটুকু ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, বিভাস যখন এই ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যেতেন তখন তাঁকে দু’হাতে টাকা বিলাতেও দেখেছেন বেশ কয়েকজন। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এখন তাঁর নাম সামনে আসতে প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা আসলে কি চাকরির জন্যই লাইন দিতেন? এই ফ্ল্যাটটি ইতিমধ্যেই ইডি সিল করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভাসের নাম বারবার সামনে এসেছে। গোপাল দলপতি জানিয়েছেন, বিভাসের সঙ্গে মানিকের সখ্যতার কথা। কিন্তু TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে বিভাস দাবি করেছেন, তিনি কউকে চেনেন না। চোর-ডাকাতরা বাঁচতে তাঁর নাম নিচ্ছে। তিনি চান তদন্তে আসল নাম সামনে আনুক।