কলকাতা: বুদ্ধবাবু সংস্কৃতিমনস্কতার কথা অনেকেরই জানা। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা থেকে কখনও সরে আসেননি তিনি। শেষের দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাইরে না বেরতে পারলেও বই পড়া ছাড়েননি তিনি। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সেই সংস্কৃতি চর্চার কথাই বললেন বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে তাঁর সম্পর্কে দুটি না জানা কথা এদিন উল্লেখ করেন বিকাশ ভট্টাচার্য।
বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতার মেয়র ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি জানান, একসময় এক সাংবাদিক বুদ্ধবাবুকে বলেছিলেন, ‘আপনার মেয়র তো কবিতা বলে বেড়াচ্ছেন।’ এ কথা শুনে বুদ্ধবাবু জবাব দিয়েছিলেন, ‘কলকাতার মেয়র কবিতা বলবে না তো কি নর্দমায় দাঁড়িয়ে থাকবে? কলকাতার মেয়রকে তো কবিতা বলতেই হবে।’
আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘এত বড় মনের মানুষ খুব দেখা যায়।’ তিনি জানান, একসময় লেক গার্ডেন্সের রেল লাইন ঘেঁষে বহু মানুষ বসবাস করতেন। রেল সেই নিয়ে মামলা করায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে দিতে হবে সবাইকে। সেই সময় ওই বাসিন্দাদের নেতা ছিলেন সৌগত রায়।
বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সময় ছিল না আর। মুখ্যমন্ত্রীকে বললাম, দাদা, কিছু করতেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে নোনাডাঙায় আইটি হাবের জন্য রাখা ১০ একর জমিতে সেই বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু।