Bitan Adhikari: ওষুধ-খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মমতাই, ২১-এর মঞ্চ থেকে ফিরে যা জানালেন বিতানের বাবা-মা
Bitan Adhikari: বিতানের পরিবার আরও জানায়, এলাকার কাউন্সিলর সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ওষুধপত্র, খাবার সব খরচের ব্যবস্থাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

কলকাতা: ‘শহিদ মঞ্চে নিয়ে গিয়ে আমাদের কাঁদতে বারণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান শেষে এ কথাই বললেন পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর মা ও বাবা। সোমবার অনুষ্ঠানের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই উঠতে দেখা যায় তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, তৃণমূলকর্মীদের তৈরি করা ফান্ড থেকে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিতানের মা জানান, তাঁদের সব বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
বিতাবের বাবা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদেরকে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই বিতানকে হারানোর শোক আমরা ভুলতে পারছি না।” কথা বলতে বলতেই চোখে জল চলে আসে বিতান অধিকারীর বাবা বীরেশ্বর অধিকারী এবং মা মায়া অধিকারী।
বেহালার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশালী পার্কের কৈলাস ঘোষ স্ট্রিটের নিজের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে তাঁরা বললেন, “বিতান আমাদের যাবতীয় খরচ বহন করত। আমার আরো এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু সে দেখেই না। খোঁজও নেয় না। আমাদের যাবতীয় খরচ এখন সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেয়। আমাদেরকে আজ মঞ্চে বলেছে, আমরা যেন না কাঁদি। কোনও রকম সমস্যায় পড়লে আমরা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি।”
বিতানের পরিবার আরও জানায়, এলাকার কাউন্সিলর সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ওষুধপত্র, খাবার সব খরচের ব্যবস্থাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিতানের মা বলেন, “এই বয়সে আর কোথায় যাব! আমাদের তো জীবনের সম্বলটাই চলে গিয়েছে।”
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে শনিবার ওই এলাকার কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লের কাছে ফোন যায়। বিতানের বাবা-মা’কে শহীদ মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাবতীয় দায়িত্ব ন্যস্ত হয় কাউন্সিলরের উপরে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে নির্দেশ ছিল, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা অবলম্বন করতে হবে। সেই মতো এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ বিশেষ গাড়ি যায় বিতানের বাড়িতে এবং দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে শহিদ মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়।
