কলকাতা: পুরভোটের পরদিনই ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই বনধকে সর্বাত্মক করার ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে এই বনধে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সোমবার বনধের ডাক দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশসুপার ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হয় রাত ৮টা নাগাদ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পুলিশকমিশনারকে সকাল থেকেই গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করারও কথা বলা হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। অন্যদিকে এদিন অর্থ দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সোমবার ২৮ ফেব্রুয়ারি কোনও রাজনৈতিক দল ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। কিন্তু সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানই খোলা রাখছে। এদিন কোনও সরকারি কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অর্ধদিবস কাজ করতে পারবেন না। কোনও ছুটি এদিন মঞ্জুর হবে না। কাজে না আসলে বেতন কাটা যাবে।
সূত্রের খবর, এদিনের জরুরি বৈঠকে বলা হয়েছে সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশসুপার বা কমিশনারেট এলাকার কমিশনাররা দিনভর যেন নিজ নিজ জেলার দিকে নজর রাখেন। কোথাও কোনওরকম জোর জবরদস্তি, বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। সূত্রের দাবি, জোর করে কেউ বনধ বা আটকানোর চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যসচিব। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে চাইলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হলে তা হতেই পারে। তবে কোথাও জোর করে যেন কোনও কিছু বন্ধ করার চেষ্টা না করা হয়। এ বিষয়ে অবশ্যই জেলা প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে। একইসঙ্গে কোনও সরকারি কর্মচারি যদি কর্মক্ষেত্রে না যান, সেক্ষেত্রে অর্থ দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। সূত্রের দাবি, জেলাশাসক ও পুলিশসুপারদের ডিজি নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
অর্থদফতর রবিবার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেখানে সরকারি কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরার কথা বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন কেউ যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ছুটিতে থাকেন, চাইল্ড কেয়ার লিভ, ম্যাটারনিটি লিভ, মেডিকেল লিভ বা আর্নড লিভ নিয়ে থাকে ২৫ তারিখ। এই নির্দেশিকার পরও যারা ২৮ তারিখ সরকারি দফতরে অনুপস্থিত থাকবেন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হবে। কাটা যাবে বেতনও।