প্যাকেট দুধ আসলে দুধই নয়, বাঙালি আসল দুধ না খেলে সোনা পাবে কী ভাবে: দিলীপ ঘোষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 27, 2021 | 6:38 PM

বিজেপি কিষাণ মোর্চার কার্যকারিণী বৈঠকে আবারও তাঁর মুখে উঠে এল সেই গরুর দুধে সোনা পাওয়ার প্রসঙ্গ। পিছিয়ে আসা তো দূর, বরং নিজের তত্ত্বের সমর্থনেই আরও জোরালো সওয়াল তুললেন তিনি।

প্যাকেট দুধ আসলে দুধই নয়, বাঙালি আসল দুধ না খেলে সোনা পাবে কী ভাবে: দিলীপ ঘোষ
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: গরুর দুধে নাকি সোনা পাওয়া যায়! বিতর্কের রীতিমতো সুনামি বইয়ে দিয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য। কিন্তু যত সমালোচনাই হোক না কেন, তিনি এখনও নিজের বক্তব্যেই অনড় রয়েছেন। শুক্রবার বিজেপির সদর দফতরে বিজেপি কিষাণ মোর্চার কার্যকারিণী বৈঠকে আবারও তাঁর মুখে উঠে এল সেই গরুর দুধে সোনা পাওয়ার প্রসঙ্গ। পিছিয়ে আসা তো দূর, বরং নিজের তত্ত্বের সমর্থনেই আরও জোরালো সওয়াল তুললেন তিনি।

এ দিনের বৈঠকে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আরও বেশি করে গো-পালনের কথা বলছিলেন দিলীপ ঘোষ। এই এলাকায় বেশি করে গো-পালন হয় না বলেই স্থানীয় মানুষজনকে প্যাকেট দুধ পান করতে হয়। যা নাকি আসল দুধ নয় বলেই এ দিন দাবি করেছেন। সেই কারণে যারা আসল দুধ খাননি, তাঁরা সোনাও পাবেন না। এমনটাই যুক্তি বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্যাকেটের যেই দুধটা আসলে দুধই নয়, বাঙালি সেটাই খাবে। আমি বলেছিলাম গরুর দুধে সোনাও পাওয়া যায়, তাতে আমায় সোনা পাওয়া যায় কি না প্রমাণ দিতে হয়েছিল। যে কোনও দিন দুধ খায়নি সে সোনার বিষয়ে বুঝবে কী! সেই জন্য তাঁদের কষ্টটা আলাদা। কিন্তু, আমাদের স্বাস্থ্যের কারণে দুধের প্রয়োজন আছে। বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়াতে হবে। বাঙালিরা তো এখন দুধ চা-ও হজম করতে পারে না, লাল চা খায়। এমন দুরাবস্থা।”

এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি। সোনা দেওয়া সেই গরু তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিতে বলেন ববি। তাঁর কথায়, “দিলীপদা যদি সেই গরুটাকে এনে আমাদের কাছে দেন, যাতে আসল দুধ আছে, তাহলে সেটা নিয়েও রিসার্চ করা যেতে পারে।”

অন্যদিকে আজকের বৈঠকে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য হওয়া ভিড়কেও একহাত নেন দিলীপ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “মাসে ৫০০ টাকা পাবেন, সেই জন্য হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। লক্ষীর ভান্ডারের লক্ষী রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এ মমতাই পারে। শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী নাকি ছোটবেলায় জল ভরতে রাস্তায় লাইনে দাঁড়াতেন। তাই তিনিও সবাইকে রাস্তায় দাঁড় করাচ্ছেন।এই টাকা কে কবে পাবেন, কেউ বলতে পারবেন না। অসম সরকার মাসে দিচ্ছে ৩০০০ টাকা। এখানে ৫০০ মাত্র। আসলে এখানে সবটাই রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী তো কত কিছু দিচ্ছেন। কাউকে রাস্তায় দাঁড় করাচ্ছেন না তো। দিল্লীতে বসে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট টাকা যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে সেবা। এটাই হচ্ছে আসল পরিকল্পনা।” আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানেও ‘মুকুল’ কাঁটা বিধানসভায়, স্পিকারকে এড়িয়ে পিএসি ফেরত চাইলেন শুভেন্দু

আরও পড়ুন: ‘বাড়ির জানলা খুলতে ভয় পাবে!’ অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি সুদীপের, পুলিশের দ্বারস্থ দিব্যেন্দু

 

Next Article