তৃণমূল ব্যস্ত উপনির্বাচন নিয়ে, একধাপ এগিয়ে পুরভোটের প্রচারে নামছে বিজেপি
বৈঠকের প্রথম দিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরসভা নির্বাচনের কথা মাথা রেখে এখন থেকেই যুব মোর্চাকে পথে নামাতে হবে
কলকাতা: একদিকে তৃণমূল যখন দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করছে, বিজেপি তখন থেকেই পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিল। সোমবার থেকে রাজ্য বিজেপিতে তিনদিন ব্যাপী পর্যালোচনা বৈঠক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ-সহ দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্যের বাকি নেতাদের উপস্থিতিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর এখন সংগঠনের অবস্থা ঠিক কেমন, জ়োন ধরে ধরে সেই আলোচনা হবে তিনদিন ব্যাপী এই বৈঠকে।
সাংগঠনিক বৈঠকের প্রথম দিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরসভা নির্বাচনের কথা মাথা রেখে এখন থেকেই যুব মোর্চাকে পথে নামাতে হবে। মূল সংগঠন পরে কাজ শুরু হবে। তবে প্রাথমিকভাবে পুরভোটে প্রচারের জমি তৈরি করার কাজটা করবে বিজেপির যুব সংগঠন। বিজেপি সূত্রে খবর, পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রধানত কলকাতাকেই পাখির চোখ করা হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা কলকাতা পুরসভা এলাকায় ছোট ছোট পথ সভার আয়োজন করা হবে যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। শহরের গলিতে গলিতে মোড়ে মোড়ে চলবে এই ছোট আকারের পথসভা। এই সভাগুলির মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগকেই বেশি করে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির গুণগান গাইতে বলা হয়েছে মোর্চা নেতৃত্বকে।
অন্যদিকে, পুরসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিদ্বজনের কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। ভোটের সময় যে কমিটিগুলি তৈরি করা হয়েছিল, তা অনেক জায়গাতেই ভেঙে গিয়েছে। সেই কমিটিগুলিকে যাতে পুনরুজ্জীবিত করা যায় সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ বাদে পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও কী কী ভাবে নেওয়া যায় সেই পরামর্শও কর্মকর্তাদের কাছে চেয়েছেন শিবপ্রকাশ। পাশাপাশি আজকের বৈঠকে যারা আসেননি তাঁদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের জানানো হয়, উপনির্বাচন নিয়ে ভাবতে হবে না। বরং সকলে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে ভাবা শুরু করুন।
ভোট মেটার প্রায় মাসচারেক পর অবশেষে জ়োনভিত্তিক বৈঠকে বসেছে বিজেপি। যেখানে প্রত্যেক জ়োনের উপর নির্ভর করে আলোচনা করা হবে। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার-সহ কলকাতার দুটি সাংগঠনিক জেলা নিয়ে আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস প্রসঙ্গও উঠে আসে আজকের বৈঠকে। নেতা-কর্মীরা জানান, ভয় পেয়ে অনেক দলীয় কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাঁরা যদি আবার আক্রান্ত হন তখন কি করা হবে? সেই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারে পঞ্চায়েত বা ক্লাব সদস্যদের ‘নো-এন্ট্রি’! জেলায় কড়া নির্দেশ গেল নবান্ন থেকে