কলকাতা: বিজেপির পুরসভা অভিযান থেকে গ্রেফতার করা হল ৫৪ জনকে। রয়েছেন ১৭ জন মহিলাও। এমনটাই খবর লালবাজার সূত্রে। অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও নিখিলরঞ্জন দেকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। এই চারজনই বিজেপি বিধায়ক। এ ছাড়াও অন্যান্য নেতা কর্মীরাও এদিন গ্রেফতার হন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানে নামে বিজেপি। হিন্দ সিনেমার সামনে থেকে মিছিল বেরিয়ে তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে উঠতেই শুরু হয় গোলমাল। পুলিশ মিছিল আটকালে খানিক ধস্তাধস্তিও হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। একে একে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পাল, রীতেশ তিওয়ারিদের।
প্রথম থেকেই এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। বিজেপিও এগিয়েছিল অনড় মনোভাব নিয়ে। কিন্তু পুলিশ তা আটকে দেয় শুরুতেই। করোনা পরিস্থিতিতে এত জমায়েত যে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বড়সড় হুমকি সেটাই দাবি পুলিশের। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর যে জমায়েত হয়েছিল তা কি করোনা পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক ছিল না? তা হলে তখন কেন কলকাতা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না?
এদিন কলকাতা পুরসভা অবধি না পৌঁছতে পারলেও অভিযান যে ভালই প্রভাব ফেলেছে, দাবি করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বলেন, “যে আন্দোলনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকাল থেকে সারা কলকাতাকে পুলিশে মুড়ে ফেলতে হয়, সমস্ত রাস্তায় দেড় হাজারের বেশি পুলিশ লাগে, তাতেই বোঝা যায় উনি ভয় পেয়েছেন। আমরা পুরসভা অবধি পৌঁছতে পারলাম কি না সেটা বড় বিষয় নয়, যে বিষয়গুলি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম আজ মানুষের কাছে সেগুলি পৌঁছল এটাই বড়।”
আরও পড়ুন: BJP KMC Abhijan: অগ্নিমিত্রা, মিহিররা গ্রেফতার, মিছিলে অংশই নিলেন না শুভেন্দু
অন্যদিকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আজ আমাদের আটকানো হল। জোর করে বিধায়ক, সাংসদদের গ্রেফতার করল। আমার কাছে যা খবর ৬৭ জন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি আছেন। দুই পুরুষ ও দুই মহিলা কর্মী আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। বিনা কারণে এই হিংসা হল। সরকারের এত ভয়ের কারণ কি বুঝলাম না।”