BJP KMC Abhijan: অগ্নিমিত্রা, মিহিররা গ্রেফতার, মিছিলে অংশই নিলেন না শুভেন্দু
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার পথে নামে বিজেপি।
কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার পথে নামে বিজেপি। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে কলকাতা পুরসভা অবধি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। এদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মিছিল ঢোকার পরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি। এক বিজেপি মহিলা কর্মী অসুস্থও হয়ে পড়েন। এরপরই মিছিলকে ছত্রখান করতে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় গাড়িতে উঠে চলে যান দিলীপ ঘোষও। ফলে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার আর কেউই ছিলেন না। এরপরই বিজেপির পুরসভা অভিযান ‘শেষ’ হয়ে যায়।
এদিনের মিছিলে ছিলেন না শুভেন্দু
পথে নেমে আন্দোলন করছে বিজেপি। অথচ সেখানে দেখাই গেল না দলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যে সময় দলীয় নেতা কর্মীরা পথে নেমে যুঝছেন, সে সময় ‘অন্য কাজ’ নিয়ে ‘ব্যস্ত’ শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, “অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য ও আসতে পারেনি।” একইসঙ্গে এদিন মিছিলে দেখা যায়নি বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও।
গ্রেফতার মিহির, অগ্নিমিত্রারা
অতিমারি আইন ভেঙে মিছিল করায় গ্রেফতার করা হল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পালদের। তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎই বদলে গেল মিছিলের রুট!
শুরুতেই মিছিলের রুট বদল। জয়প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে একটি মিছিল নির্দিষ্ট রুটে না গিয়ে হিন্দ সিনেমা হয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরে এগোতে শুরু করে। কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে মুখ খোলেনি বিজেপি। তবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে এই রুট বদল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ গা জোয়ারি করছে, অভিযোগ দিলীপের
আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতীকী প্রতিবাদ করছিলাম। আমাদের কর্মসূচি শুরুই হয়নি। সবে কার্যালয় থেকে বেরিয়েছি। এরইমধ্যে আমাদের বিধায়ক-সাংসদদের পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এটা গা জোয়ারি হচ্ছে, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।
পুলিশ ভয় পাচ্ছে: রাহুল সিনহা
আমরা কোনও বিক্ষোভের পক্ষে ছিলাম না। করোনাকালে মানুষের গায়ে বিষ ঢুকিয়ে দিলে তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠাতেই হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। কিন্তু পুলিশ ভয় পাচ্ছে। তাই আটকাচ্ছে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। মিছিল থেকে বললেন রাহুল সিনহা।
আমরাও বিরোধী হিসাবে শক্তিশালী: দিলীপ
মিছিল থেকে দিলীপ ঘোষের বার্তা, “আমরা ভেবেছিলাম সরকারকে কাজ করতে দেব। আমরাও তো বিরোধী হিসাবে শক্তিশালী। কিন্তু সরকার যে ভাবে জনবিরোধী কাজ করছে তা মানা যায় না। ভ্যাকসিন লুঠ করছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন দিচ্ছে। রাজ্যজুড়ে হিংসা করছে। আমরা প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছি। পুলিশ এখন সরকার ও পার্টি চালাচ্ছে। আমরা আজ বিধায়ক, সাংসদ সকলে পথে নেমেছি।”
মিছিল ঠেকাতে তৎপর লালবাজার
মিছিল মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন তিনজন জয়েন্ট সিপি, দুই অ্যাডিশনাল সিপি, ১০ জন ডিসি। বিশৃঙ্খলা রুখতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান। মেট্রো চ্যানেলে তৈরি জলকামান। মিছিলের ভিডিয়োওগ্রাফি করবে লালবাজার। রানি রাসমণি স্কোয়ার, হগ স্ট্রিটে ভিডিয়োগ্রাফি হবে। মিছিল ঠেকাতে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল থাকছে। নবান্ন, রাজভবন, রাইটার্সে বিশেষ নজরদারি। পুরসভার গেটে অতিরিক্ত ফোর্স, মহিলা পুলিশ। প্রচুর পরিমাণে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন।
মিছিল এগোবে যে পথে
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত করবেন বিজেপি কর্মীরা। সেখান থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট ধরে ওয়েলিংটন মোড় হয়ে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোডে যাবে মিছিল। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরেই গন্তব্য কলকাতা পুরসভায় পৌঁছবে বিজেপি।