কলকাতা: কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) একটি টুইট নিয়ে চাপানউতর শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। নিশানায় কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তাঁর ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুকে। শুভেন্দুর দাবি ছিল কোনও সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই ওই হোটেলে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। পাঁচশোর বেশি পুলিশকর্মী, বম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়ে। গেট বসে মেটাল ডিটেক্টর। এ নিয়ে চাপানউতরের মধ্যে এবার রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন থেকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হল শুভেন্দুকে।
শো-কজ নোটিসে বলা হয়েছে গত ১৬ নভেম্বর শিল্পা দাস নামে এক জনৈক মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন। শুভেন্দুর ১৩ নভেম্বর করা একটি টুইট নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, ওইদিন বিকাল ৪.৫৪ নাগাদ করা টুইটে ৩ বছরের শিশুর উদ্দেশে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর ওই মন্তব্য শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে শো-কজ নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। শো-কজ নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে কেন শুভেন্দু এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। একইসঙ্গে দেশের জুভেনাইল আইন মোতাবেক কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না তাও ব্যখ্যা করতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু, সেখানে তিন বছরের শিশুকে নিশানা করা দেশের শিশু অধিকার রক্ষা আইন লঙ্খন করার সমান বলে মত কমিশনের। একইসঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধি মোতাবেকও প্রয়োজনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে এখন পুরোটাই নির্ভর করছে শুভেন্দু এই নোটিসের জবাবে কী বলেন তার উপর। এদিকে আচমকা এই নোটিসে শুভেন্দুর উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। এদিকে এই চাপানউতরের মধ্যে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি কোনও চিঠি পাননি। তাঁর সাফ দাবি, তিনি কারও নাম বলেলনি। বলেছিলেন কয়লা ভাইপোর কথা। তাহলে এখন কয়লা ভাইপো কে সেটা বলুক কমিশন।