কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্য সরকারের উপর ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। এদিকে এরইমধ্যে শনিবার হাজরা(Hajra) মোড়ে বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। এদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায় বিজেপির(BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। আটকও হন পুলিশের হাতে। সুকান্তর দাবি এদিন গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুকান্তর কথায়, “গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর যেভাবে পুলিশ হামলা চালালো তা নিন্দনীয়। মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে শ্লীলতাহানির(Molestation) চেষ্টা করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একইসঙ্গে সেপ্টেম্বরে বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি সেদিনই পতন হবে তৃণমূল সরকারের। এদিন হাজার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিলাম। আমার সুরক্ষাকর্মীর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। মারা হয়েছে। এমনকী আমাকে যেভাবে মারা হয়েছে তাতে আমি আইনি পদক্ষেপ করব। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। আমার সিকিউরিটিদের সঙ্গে এই ধস্তাধস্তিতে তাঁদের ওয়্যারলেস সেট হারিয়ে গিয়েছে। পুলিশ না কে চুরি করেছে জানি না। হাত ধরে টানা হয়েছে, মহিলাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার হাত লাল হয়ে গিয়েছে। ঘাড়ে বহুক্ষণ ব্যথা ছিল। তাঁরা আমার গায়ের উপর পড়েছেন। মনে রাখবেন একজন পুরুষেরও শ্লীলতাহানি হতে পারে। ওখানে যে পুলিশ আধিকারিক ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ জানাব।”
প্রসঙ্গত, এদিন হাজরা মোড়ে নিজের গাড়ি থেকে একটি পোস্টার বের করেন সুকান্ত। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগানও লেখা ছিল। যা দেখা মাত্রই পুলিশ ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই আটক করা হয় সুকান্তকে। সুকান্তর দাবি, “চারজন পাঁচজন পুলিশ মিলে তাঁদের গায়ে যত জোর ছিল তা দিয়ে আমাকে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। আমি পড়েও যেতে পারতাম।”