কলকাতা: “পশ্চিমবঙ্গটা যাচ্ছে আমিত্বর জন্য। সবাই মিলে কাজ করতে হয়। কোনও কাজ একা হয় না। একা হচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ।” সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধনে এসে এমনই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
গুজরাটের বিড়লা মন্দিরে আদলে এবারের মণ্ডপ হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। বড় পুজোর মধ্যে এটাই শহরের একমাত্র পুজো যা বিজেপির নেতারা উদ্ধোধন করছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হাত দিয়ে এই পুজোর উদ্বোধন হয়। ছিলেন প্রদীপ ঘোষ এবং তাঁর পুত্র সজল ঘোষও।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। আঙুল ওঠে শাসক শিবিরের দিকে। তাঁর হাতেই শুরু হয়েছিল এখানকার দুর্গাপুজো। ভাইয়ের অনুপস্থিতে এবার সেই পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বিশ্বজিৎ সরকার। নাম দিয়েছেন ‘স্মৃতির পুজো’। শনিবার সেই পুজোতেও উপস্থিত হন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “একা মানে সর্বনাশ , সবাই মিলে হচ্ছে পৌষমাস।” তিনি যোগ করেন, “সনাতন ধর্মের সব পালটে যাচ্ছে। পিতৃপক্ষে উদ্ধোধন করছে প্রশাসনের লোকেরা। এটা হয় না। মাতৃপক্ষে উদ্বোধন করতে হয়। এখানে মণ্ডপে জুতো লাগানো হচ্ছে। বিষ্ণুমাতা বলছে!”
উল্লেখ্য, দমদম পার্ক ভারত চক্র পুজো কমিটির এবারের পুজোর থিম ‘ধান দেব না, মান দেব না’। সেখানে প্যান্ডেলের একটি অংশ সাজানো হয়েছে জুতো দিয়ে। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। আগেই এ নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সনাতন হিন্দুধর্মকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার পর এদিন অভিজিৎ সরকারের পুজোতে এসে তিনি মন্তব্য করেন, “আশা করব আমাদের সনাতন ধর্ম বিষয়ে জেনে কাজ করবেন। কী সব হচ্ছে, জুতো দিয়ে মায়ের মণ্ডপ!”
তিনি আরও যোগ করেন, “কাশ্মীরে একজন শিখ,হিন্দুকে মারা হল। কোন জাতি সেটা বড় নয়, তাঁরা ভারতবাসী। আমি প্রার্থনা করব ভারতকে আফগানিস্তান হতে না দেয়।”
আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: ‘বেঁচে থাকলে ওঁর দ্বিতীয় পুজো হত’, কলকাতার এই পুজোর থিম ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’!
এর আগেও মহালয়ার একটি অনুষ্ঠান থেকেও এমন মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী নেতা। তমলুকে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানে জেহাদি তালিবানি শাসনের সঙ্গে তৃণমূল (TMC) সরকারের শাসনের তুলনা টেনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, ‘মা আমাদেরকে যেন ট্রেনের চাকা ধরে ঝুলতে না হয়। মা আমাদেরকে যেন সাগরে ডুব দিয়ে না মরতে হয়।’ অভিযোগ করেছেন, বিভেদের রাজনীতি করছে তৃণমূল। এমনকি কয়েক দিন আগে বিজেপির এক সভা থেকে তিনি এও বলেছেন, বিজেপিতে তিন রকম নেতা ও কর্মী আছেন। এক, যারা বিজেপি-র আদর্শ দেখে রাজনীতি করতে এসেছেন। দুই, যাঁরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। এই নেতারা এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন। আর তিনি নিজে তৃতীয় গোত্রের বিজেপি নেতা বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড আরিয়ানের,’ অধীরের দাবি, দেশে দু’রকম আইন চলছে