Suvendu Adhikari on Nandigram Election: কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়! রাজীবদের দাবিকে ফুৎকারে ওড়ালেন শুভেন্দু
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে ‘দলবদলু’ রাজীব এবং জয়প্রকাশ এক যোগে অভিযোগ করেন, শুভেন্দু না কি নন্দীগ্রামে (Nandigram) জেতেননি। তাঁর জয়ের পিছনে কারসাজির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন শুভেন্দু।
শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজীব এ দিন দাবি করেন, “ভোটের দিন শুভেন্দু ফোন করে বলেছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন।” এরপরও কীভাবে জিতলেন প্রশ্ন তোলেন রাজীব। তাঁর এই দাবিকে সিলমোহর দিয়ে আর এক ধাপ এগিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, “২ মে বিকেল ৫টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে মাননীয়ার জয়ের কথা জানাই। আমাদের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারি পরাজিত হয়েছেন। পরে জানতে পারি ফল অন্য। শুভেন্দুকে ফোনে জয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, অনেক কিছু করতে হয়েছে।” রাজীব ও শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক দাবি ঘৃতাহুতি দেয় নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন বিতর্কে।
উল্লেখ্য, ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের গণনার দিন প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পর কমিশনের তরফে দাবি করা হয়, শুভেন্দু অধিকারী ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। এরপর পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে দ্বারস্থ হন মমতা। এখনও এই মামলা বিচারাধীন। তার মধ্যে রাজীবদের এই দাবি নয়া বিতর্কের জন্ম দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও তৃণমূলের এই দাবিকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। এ দিনই বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তাঁদের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা নেই জনমনে। দলে ভাল জায়গা পেতে এসব কথা বলছেন। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জেতার পর ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর কিছু দিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই রাজীব-জয়প্রকাশরা কেন দাবি করছেন, স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম জিততে ‘অনেক কায়দা করতে হয়েছে’ শুভেন্দুকে! বোমা ফাটালেন জয়প্রকাশ