কলকাতা: দরজা ভেঙে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার পাশে দাঁড়াতে রাতেই মুচিপাড়ায় গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ প্রথমে মুচিপাড়া থানা, এরপর ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ি যান শুভেন্দু। সেখানে গিয়ে যথারীতি শাসকদল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। যেভাবে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দরজা ভেঙে সজলকে মুচিপাড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা আইনসিদ্ধ নয় বলেই ক্ষোভ উগরে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অন্যদিকে, পুলিশের দরজা ভাঙার ওই দৃশ্য কাঙ্খিত ছিল না বলে মনে করছে তৃণমূলও।
শুক্রবার রাতে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের মুচিপাড়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “কলকাতার উপকণ্ঠে একেবারে জিনস-টি শার্ট পরে এসে জুতো দিয়ে ধাক্কা মারতে মারতে ঘরের দরজাটা ভেঙেছে। আর ত্রিপুরায় গিয়ে এরা গণতন্ত্রের কথা বলে। আজকের এই ছবি প্রমাণ করে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে কথাটা লেখা রয়েছে, শাসকের আইন। আইনের শাসন নেই। সেটা সত্য।”
জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় অভিযুক্ত সজলকে প্রথা বা পদ্ধতিমাফিক গ্রেফতার করতে কী সমস্যা ছিল? সেই প্রশ্নও তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “যে পদ্ধতিতে লাথি মেরে মেরে দরজা ভাঙা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। সজলকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকে গ্রেফতার করতে পারত। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারত। অনেক পদ্ধতি আছে। এটা মস্তানি। ২৩৫ এর দম্ভ দেখিয়ে আজ একটা দল বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেছে। এই দলও ২১৩-র দম্ভ দেখাচ্ছে। একেও আগামিদিনে শূন্য হতে হবে।”
অন্যদিকে, শাসকও যে পুলিশের লাথি মেরে দরজা ভাঙার দৃশ্য খুব একটা ভালভাবে নিচ্ছে না, সেটা এ দিন সাফ করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “এই দৃশ্য কতটা জরুরি ছিল তা দেখতে হবে।” এর পাশাপাশি একটি টুইট করে তিনি লেখেন, “সজলের উচিত ছিল পুলিশকে সহযোগিতা করে বেরিয়ে আসা। তবে অভিযোগের অনুপাতে পুলিশের সময় না দিয়ে দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত। এতে অভিযুক্তদের সুবিধা হয়।”
মুচিপাড়া: কাল রাত থেকে বিজেপি অসভ্যতা করেছে। সজল এর মধ্যে ঢুকে অন্যায় করেছে। মানুষের ক্ষোভ থাকবেই। সজলের উচিত ছিল পুলিশকে সহযোগিতা করে বেরিয়ে আসা। তবে অভিযোগের অনুপাতে পুলিশের সময় না দিয়ে দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত। এতে অভিযুক্তদের সুবিধা হয়।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 13, 2021
শেষ পাওয়া খবরে, শনিবার রাত পর্যন্ত ধৃত সজলের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপিও অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে হাঁটতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, চরম উত্তেজনা মুচিপাড়ায়