AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দলের কিছু নিয়ম কানুন আছে, উনি নতুন এসেছেন তাই জানেন না’, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

Dilip Ghosh: রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী।

'দলের কিছু নিয়ম কানুন আছে, উনি নতুন এসেছেন তাই জানেন না', বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
গত কয়েকদিনে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী়।
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 9:02 AM
Share

কলকাতা: গত কয়েকদিনে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম। সৌজন্য ‘বেসুরো রাজনীতি’। দলে সম্মান না পাওয়া থেকে শুরু করে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কৃষ্ণ (BJP MlA Krishna Kalyani)। এবার সেই কৃষ্ণকে নিয়েই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। ‘নবাগত বিধায়ক’ দলের নিয়ম কানুন জানেন না বলেই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ” কৃষ্ণ কল্যাণী পার্টিতে নতুন এসেছেন তাই সমস্ত নিয়ম কানুন জানেন না। আস্তে আস্তে শিখে নেবেন।” সম্প্রতি বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে রায়গঞ্জের দলীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কোন্দল প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি। রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী গত রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জেলা কমিটির কোনও দলীয় কর্মসূচিতে আর তিনি থাকবেন না।

তিনি অভিযোগ তোলেন, জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ষড়যন্ত্র করছে তাঁর বিরুদ্ধে। বার বার দলীয় রাজ্য নেতৃত্বকে এই বিষয়ে জানানোর পরও কোনও লাভ হয়নি তাঁর। উল্টে বাসুদেব সরকার এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন বলে দাবি করেন কৃষ্ণ। একই সঙ্গে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। তাঁর দাবি, রায়গঞ্জের মানুষ তাঁদের সাংসদকে এলাকাতেই পান না।

রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন বলেও অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কৃষ্ণ বলেন, “উনি তো রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভায় নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। উনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়েও ছিলেন। এখন শুনছি উনি নাকি রাজ্য সভাপতি হবেন। উনি রাজ্য সভাপতি হলে ১০ জন বিধায়ক-ও বিজেপিতে থাকবেন না।” এই নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয় জেলা বিজেপির অন্দরে।

পাল্টা দেবশ্রী চৌধুরীও বলেন, “কৃষ্ণের মানসিক সমস্যা হয়েছে। আমি ওর ব্যপারে কিছু বলব না। আমি সংগঠন থেকে উঠে এসেছি।” তবে বিষয়টিকে যে দল এতটা লঘু করে দেখছে না দিলীপ ঘোষের শনিবারের মন্তব্যে তা স্পষ্ট। কৃষ্ণ কল্যাণীর এ হেন দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নির্ধারিত নিয়ম-অনুশাসনে চলা দল। নতুনরা এসে তা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝে উঠতে না পারায় এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ কল্যাণীর দল বদল নিয়ে একটা জোরাল জল্পনা তৈরি হয়। দলের জেলা সভাপতি ও সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁর এ ভাবে সরব হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরেই। বিশেষ করে এক সময় যে দেবশ্রী চৌধুরীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, হঠাৎ এ ভাবে তাঁর সঙ্গে দ্বৈরথে জড়ানো দল বদলের সম্ভাবনাকেই আরও জোরাল করে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের পর্যবেক্ষণ।

আরও পড়ুন: মেয়ের ফোন পেয়ে জামাইয়ের কারখানায় যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন! উঁকি মারতেই হাড় হিম করা দৃশ্য…