Samik Bhattacharya: উত্তরের শক্ত ঘাঁটি কতটা পোক্ত? দেখতে যাচ্ছেন শমীক
Samik Bhattacharya: বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরই শমীক বার্তা দেন, নতুন আর পুরনো মেলবন্ধনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। তাঁর এই বার্তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত পুরনো নেতা কর্মীকে বৈঠকে নিয়ে আসার জন্য।

কলকাতা: বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ। চব্বিশের লোকসভা কিংবা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকেই বেশি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে সেই উত্তরবঙ্গে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি ঝালিয়ে দেখতে যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার থেকে তিনি তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন।
রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর প্রথম উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন শমীক। আগামিকাল তিনি আলিপুরদুয়ার পৌঁছবেন। উত্তরবঙ্গ সফরে প্রথমে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির নেতৃত্বদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন বিজেপির নতুন সভাপতি। তবে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবার তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। এই দুটি জেলায় কেন রাজ্য বিজেপির সভাপতির কোনও কর্মসূচি নেই, তা নিয়ে অবশ্য বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরই শমীক বার্তা দেন, নতুন আর পুরনো মেলবন্ধনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। তাঁর এই বার্তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত পুরনো নেতা কর্মীকে বৈঠকে নিয়ে আসার জন্য। তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে বলা হয়েছে। এমনকি তাঁরা যাতে ঠিক মতো সম্মান পান, তাও দেখতে বলা হয়েছে।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারছে, বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে হলে দক্ষিণবঙ্গে যেমন আসন বাড়াতে হবে, তেমনই উত্তরবঙ্গেও নিজেদের শক্তি ঘাঁটি ধরে রাখতে হবে। আর কয়েকমাস পরই নির্বাচন। তাই, উত্তরবঙ্গে বিজেপির পুরনো কর্মীদেরও সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছেন শমীক। আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপিতে আদি ও নব্যদের মধ্যে ভয়ঙ্কর সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বিজেপির আদি নেতাদের একজোট করছেন শমীক ভট্টাচার্য ও দিলীপ ঘোষ।

