Kasba Attack on BJP: সন্ধেয় নতুন করে উত্তেজনা, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ! রাজ্যের DGP-কে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের
BJP: বিজেপির কসবা মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকারের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ইতিমধ্য়েই কসবার ঘটনা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত পাকড়াও করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন রেখা শর্মা।
কলকাতা: বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া প্রথম দুই দফার ভোট বাংলায় মোটের উপর শান্তিতেই মিটেছে। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটের পরই তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কসবায় আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি নেত্রী সরস্বতী সরকার। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। মাথায় ব্যান্ডেজ পড়েছে বিজেপি নেত্রীর। সেই ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল জাতীয় মহিলা কমিশন। বিজেপির কসবা মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকারের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ইতিমধ্য়েই কসবার ঘটনা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত পাকড়াও করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন রেখা শর্মা।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে রবিবার দেখা করেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছে যান আনন্দপুর থানায়। থানা চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থী। কেন কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেবশ্রী চৌধুরী। যদিও কসবার এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের দাবি, ‘এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। স্থানীয় স্তরে কোনও সমস্যা হতে পারে।’
কসবায় বিজেপি নেত্রী আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে দিনভর উত্তেজনার পর, সন্ধেয় ফের তপ্ত হয় পরিস্থিতি। আনন্দপুর থানার সামনে নতুন করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
রাতে পুলিশের তরফে এই হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা। গৌরহরি গায়েন ও আশরাফ মোল্লা নামে দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। যদিও এর পরও আনন্দপুর থানার বাইরে বিক্ষোভ চলতে থাকে বিজেপির। দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর দাবি, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূল অভিযুক্ত নয়। মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা বলে দাবি দেবশ্রীর। তাঁর বক্তব্য, ‘যারা সরস্বতীকে চপার দিয়ে মেরেছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। কাউন্সিলরের চামচেকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। যারা চপার দিয়ে মেরেছে, তাদের নাম-সহ পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। ওঁরা ১০ ঘণ্টা নাটক দেখিয়েছে, এবার আমরা দেখাব।’ যতক্ষণ না মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ থানার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।