AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মায়ের হাতে ক্যামেরা ধরিয়েই বং গাই হয়েছিলেন কিরণ দত্ত

Kiran Dutta-The Bong Guy: ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করে হঠাৎই ছেলেটা ঠিক করল আইটির গতে বাঁধা চাকরি করবে না। সে এমন কিছু করবে, যা দেখে লোকে বলবে, "বাবা! এমনও হয়।" ছেলের এই চিন্তাভাবনাকে প্রথমে প্রশ্রয় না দিলেও, পরবর্তীতে ছেলের স্বপ্নকে উড়ান দিয়েছিলেন তিনিই। সম্প্রতি পালিত হল মাতৃদিবস (১২ মে, ২০২৪)। কিরণের মাকে কুর্নিশ।

মায়ের হাতে ক্যামেরা ধরিয়েই বং গাই হয়েছিলেন কিরণ দত্ত
কিরণ দত্ত।
| Updated on: May 13, 2024 | 12:16 PM
Share

ইনস্টাগ্রামে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪.০৪ মিলিয়ান (এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় এটাই ছিল সংখ্যা – ৪০ লাখেরও বেশি)। ইনস্টাগ্রামে তাঁকে ফলো করেন ২ মিলিয়ান (২০ লাখ) অনুগামী। এই ব্যক্তির জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত টেক্কা দিচ্ছে তাবড় সেলেব্রিটিদের। অনেকে মনে করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিংবা দেবের মতো সুপারস্টারদের মতোই জনপ্রিয়তা তাঁর। এই ব্যক্তি আর কেউ নন, ‘দ্যা বং গাই’, অর্থাৎ কিরণ দত্ত। তিনি হলেন বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার। যিনি এটা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, ছকের বাইরে হেঁটেও সফল হওয়া যায়। অনেকটা তাঁর সাফল্যকে অনুসরণ করেই আগামীর ছেলেমেয়েরা ইউটিউবে ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করছেন। তৈরি করছেন চ্যানেল। ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এর কুফলও তৈরি হয়েছে। যে যা পেরেছেন তৈরি করে ফেসবুকে ছেড়েছেন। তা দেখে দ্যা বং গাই খেপেওছেন। বলেছেন, “একটা শৈল্পিক দিক থাকা দরকার।”

কিরণ দত্ত ব্যক্তি জীবনে ভীষণই অল্প কথার মানুষ এবং তাঁর ফোকাস ইউটিউব থেকে সরেনি কোনওদিনই। চিরটাকাল লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন কিরণ। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষায় ‘AA’ গ্রেড পেয়েছিলেন তিনি। এই গ্রেডের অর্থ ‘আউটস্ট্যান্ডিং’। মানে তিনি খুবই ভাল একজন ছাত্র। কিরণ এর পর ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করেছিলেন। তিনি মনে করেন, যে কোনও পেশায় যেতে গেলেই প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করা বাঞ্ছনীয়। সেখানে ফাঁকি দেওয়াই যাবে না।

ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করা কিরণ দত্তের কেরিয়ার অন্য রকমই হত। তিনিও হয়তো আর পাঁচজন আইটি সেক্টরে কর্মরত ছেলেমেয়ের মতোই ক্লায়েল্ট বেসড চাকরি করতেন। কিন্তু না, সেটা হল না। কারণ, কিরণ করতে চেয়েছিলেন অন্যকিছু। তিনি ইউটিউবের লজিস্টিক্স নাড়াঘাটা করে বুঝেছিলেন, সেটাই হতে চলেছে ভবিষ্যৎ। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, পুরনো বাংলা বাণিজ্যিক ছবির ভিডিয়ো তৈরি করতে শুরু করেন কিরণ। অগোছালো ঘরে, ক্যামেরার সামনে বসে অনর্গল বকেই চলত ছেলেটা। এখনকার মতো এত চাকচিক্য ছিল না ভিডিয়োতে। তাতে ভিউজ় হত অল্পই।

ছেলে আইটির চাকরি ছেড়ে ভিডিয়ো তৈরি করছে। ইউটিউবে আপলোড করছে। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন দেখা বাবা-মা মেনে নিতে পারেন কি সেটা! প্রথম-প্রথম মানেনি কিরণের বাবা-মাও। কিন্তু তারপর যা হল, সেটা কেবলই মায়েরাই করতে পারেন। কিরণের মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁর মা-ই পাশে এসে দাঁড়ালেন।

ছেলে ভিডিয়ো তৈরি করছে। ক্যামেরার পজ়িশন বুঝতে পারছে না। দরজার আড়াল থেকে দেখতেন তাঁর মা। তারপর নিজেই এগিয়ে এসে ছেলের হাতটা ধরেন শক্ত করে। TV9 বাংলাকে কিরণ বলেছিলেন, “আমার মা ছিলেন আমার প্রথম ক্যামেরাপার্সন। তখন ভিডিয়ো বানানো শুরু করেছি মাত্র। জার্ক যাতে না হয়, মা-ই একদিন বলল, ক্যামেরাটা ধরে দেবে। আমিও না করলাম না। ‘দ্যা বং গাই’-এ আপলোড হওয়া বহ-বহু ভিডিয়োর ক্যামেরাটা ধরেছিলেন আমার মা-ই।”