কলকাতা: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি লটারি (Lottery) সংস্থার একটি ওয়েবসাইটে ১ কোটি টাকার লটারি প্রাপক হিসেবে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম। ৫৪০৪৫- এই লটারি নম্বর থেকেই ১ কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে নাম উঠে এসেছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। কার কাছ থেকে কিনেছিলেন লটারির টিকিট? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বর্তমানে তৎপরতা শুরু করেছে সিবিআই। এদিকে বঙ্গের একাধিক লটারি সংস্থায় কালো টাকা সাদা করেছেন তৃণমূল নেতারা। সাম্প্রতিককালে লাগাতার এই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। এবার কার্যত একই সুর শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দিলীপ বলেন, “২০১৬ সালের সিএজি রিপোর্টে লটারিতে যে দুর্নীতি হচ্ছে তার প্রমাণ ছিল। সরকার সব জানে কিন্তু এটায় গুরুত্ব দেয়নি। ৪০-৪৫টা লটারি যে বাংলায় চলছে তাতে সরকারের লোকেরাই কোনও না কোনওভাবে যুক্ত আছে। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হয়েছে এই লটারি। এখন সেটা সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। একাধিক নেতা ১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন।” তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যতরকম দুর্নীতি আছে প্রতিটার সঙ্গে প্রতিটা কোনও না কোনওভাবে যুক্ত। তৃণমূলের উপরের স্তরের নেতারাও যুক্ত। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমার মনে হয় সত্য শীঘ্রই সামনে আসবে।”
এদিকে লটারি কাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই নানা প্রশ্ন শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের পিছনে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও এ প্রসঙ্গে দিলীপের সাফ দাবি, “আমপা তো অনেক কিছুই বলছি। আমরা চাই সেগুলির তদন্ত হোক। প্রত্যেকটা জিনিস আজ জলের মতো স্বচ্ছ। সাধারণ মানুষও সব জানে। কিন্তু তাঁদের কথা তো কেউ শুনবে না। কোনও নেতা বা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি বললে তখন পুলিশ বা অন্য কোনও সংস্থা তাঁর গুরুত্ব দেয়। বিজেপি নেতারা শুধু নয়, সবাই সব জানে। ভয়ে বলতে পারে না। আমরা বলি। যদিও আমারাই অঙ্গুলিহেলন করতাম তাহলে তো সিবিআইকে বলতাম সরকারটাকে ফেলে দিতে! কিন্তু, আমরা কেন মার খেতাম? কেন কোর্টে যেতাম? সিবিআই তো সব করে দিতে পারত।” অনুব্রতর লটারি পাওয়া নিয়ে তবে রাজনীতি হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা আদালতকে ঠিক করতে দিন। আমি এটা নিয়ে কিছু বলব না।”