Garfa Body Recovered: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া কলকাতা, গড়ফায় তিন মাস ধরে বাবার দেহ আগলে যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 22, 2021 | 11:32 PM

Garfa: গরফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার ওই বাড়ি থেকে আজ যখন প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়, তখন দেহ পচে অনেকটা কঙ্কালে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ছেলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

Follow Us

কলকাতা: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া কলকাতায়। মৃত বাবার দেহ আগলে ছেলে। মাস তিনেক ধরে বাবার দেহ বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল ওই যুবক। মৃত ওই প্রৌঢের নাম সংগ্রাম দে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়ের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। গরফা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গরফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার ওই বাড়ি থেকে আজ যখন প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়, তখন দেহ পচে অনেকটা কঙ্কালে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ছেলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। স্ত্রীও পক্ষাঘাতগ্রস্ত। প্রৌঢ়ের যদি মৃত্যুর আগে কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতাও বোধ করে থাকেন, সেটিও দেখার মতো বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে ঠিক কীভাবে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিগত কয়েকমাস ধরে বৃদ্ধকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। প্রথমদিকে বিষয়টি প্রতিবেশীদের চোখে না পড়লেও, একটা সময় এলাকাবাসীদের মনে সন্দেহ জাগে। কিছু একটা যে হয়েছে এমন অনুমানও করছিলেন তাঁরা। আজ বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি হয়, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয় না।

দেরি না করে প্রতিবেশীরা খবর দেন গড়ফা থানায়। গড়ফা থানার পুলিশ এসে বাড়িতে ঢোকে এবং সংগ্রাম দের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির একাংশ প্রায় কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। তবে মাস তিনেক ধরে দেহটি বাড়িতে পড়ে থাকলেও প্রতিবেশীরা কেউই কোনও দুর্গন্ধ পাননি। তিন মাস ধরে একটি দেহ বাড়িতে এভাবে পড়ে থাকার পরেও কীভাবে কোনও গন্ধ বেরোল না, তা নিয়েও একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেও এভাবে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল স্ত্রী ও মেয়েকে। বাগবাজার  চক্ররেল সংলগ্ন ক্ষীরোদ মঞ্জিল নামক এক বাড়ি থেকে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বাড়ি থেকে সচরাচর বৃদ্ধই বেরোতেন। তিনিই দোকানপাট-বাজারহাট করতেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন তাঁকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছিল না। প্রথমে স্থানীয়রা বিশেষ আমল দেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন, হতে পারে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না তিনি। কিন্তু তারপরও কেটে যায় বেশ কয়েকটা দিন। বাড়িতে দিগ্বিজয়ের স্ত্রী ও মেয়েরও দেখা মিলছিল না।

বাগবাজারের ঘটনায় অবশ্য পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। গন্ধের উৎস খুঁজতে প্রথমে তাঁদের সমস্যা হয়। পরে বুঝতে পারেন, ক্ষীরোদ মঞ্জিল অর্থাৎ দিগ্বিজয়ের বাড়ি থেকেই গন্ধ ভেসে আসছিল। বিপদ আঁচ করে বাগবাজার থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে দেখেন, বাড়ির ভিতর খাটের ওপর পড়ে রয়েছে দিগ্বিজয়ের কঙ্কালসার দেহ। গোটা শরীরে পচন ধরে গিয়েছিল। পাশেই বসে ছিল তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে।

আরও পড়ুন : Firhad Hakim: হাত উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি ‘৫ মিনিট লাগবে…’, এবার ফিরহাদের বিরুদ্ধে মামলা বিপ্লব গড়ে

দেখুন ভিডিয়ো :

কলকাতা: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া কলকাতায়। মৃত বাবার দেহ আগলে ছেলে। মাস তিনেক ধরে বাবার দেহ বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল ওই যুবক। মৃত ওই প্রৌঢের নাম সংগ্রাম দে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়ের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। গরফা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গরফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার ওই বাড়ি থেকে আজ যখন প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়, তখন দেহ পচে অনেকটা কঙ্কালে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ছেলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। স্ত্রীও পক্ষাঘাতগ্রস্ত। প্রৌঢ়ের যদি মৃত্যুর আগে কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতাও বোধ করে থাকেন, সেটিও দেখার মতো বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে ঠিক কীভাবে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিগত কয়েকমাস ধরে বৃদ্ধকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। প্রথমদিকে বিষয়টি প্রতিবেশীদের চোখে না পড়লেও, একটা সময় এলাকাবাসীদের মনে সন্দেহ জাগে। কিছু একটা যে হয়েছে এমন অনুমানও করছিলেন তাঁরা। আজ বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি হয়, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয় না।

দেরি না করে প্রতিবেশীরা খবর দেন গড়ফা থানায়। গড়ফা থানার পুলিশ এসে বাড়িতে ঢোকে এবং সংগ্রাম দের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির একাংশ প্রায় কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। তবে মাস তিনেক ধরে দেহটি বাড়িতে পড়ে থাকলেও প্রতিবেশীরা কেউই কোনও দুর্গন্ধ পাননি। তিন মাস ধরে একটি দেহ বাড়িতে এভাবে পড়ে থাকার পরেও কীভাবে কোনও গন্ধ বেরোল না, তা নিয়েও একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেও এভাবে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল স্ত্রী ও মেয়েকে। বাগবাজার  চক্ররেল সংলগ্ন ক্ষীরোদ মঞ্জিল নামক এক বাড়ি থেকে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বাড়ি থেকে সচরাচর বৃদ্ধই বেরোতেন। তিনিই দোকানপাট-বাজারহাট করতেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন তাঁকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যাচ্ছিল না। প্রথমে স্থানীয়রা বিশেষ আমল দেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন, হতে পারে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না তিনি। কিন্তু তারপরও কেটে যায় বেশ কয়েকটা দিন। বাড়িতে দিগ্বিজয়ের স্ত্রী ও মেয়েরও দেখা মিলছিল না।

বাগবাজারের ঘটনায় অবশ্য পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। গন্ধের উৎস খুঁজতে প্রথমে তাঁদের সমস্যা হয়। পরে বুঝতে পারেন, ক্ষীরোদ মঞ্জিল অর্থাৎ দিগ্বিজয়ের বাড়ি থেকেই গন্ধ ভেসে আসছিল। বিপদ আঁচ করে বাগবাজার থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে দেখেন, বাড়ির ভিতর খাটের ওপর পড়ে রয়েছে দিগ্বিজয়ের কঙ্কালসার দেহ। গোটা শরীরে পচন ধরে গিয়েছিল। পাশেই বসে ছিল তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে।

আরও পড়ুন : Firhad Hakim: হাত উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি ‘৫ মিনিট লাগবে…’, এবার ফিরহাদের বিরুদ্ধে মামলা বিপ্লব গড়ে

দেখুন ভিডিয়ো :

Next Article