কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির ক্যাগ রিপোর্ট। বামেদের বিরুদ্ধে এটাই হতে চলেছে শাসক দলের নয়া অস্ত্র? বৃহস্পতিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে প্রথম এই রিপোর্টের কথা শোনা যায়। এবার সেই রিপোর্টের কথাই বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, বাম আমলে ৪৬ হাজার নিয়োগ দুর্নীতির কথা উল্লেখ আছে ক্যাগ রিপোর্টে। বৃহস্পতিবারই সেই রিপোর্টের কথা জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ব্রাত্য বসু। সিপিএম নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কাচের ঘরে বলে ঢিল ছুড়বেন না। আমাদের কাছে আরও অনেক অভিযোগ আসছে।
বৃহস্পতিবার পার্থ বলেছেন, ‘সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ বাবু, শুভেন্দু বাবুরা বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। ২০০৯-১০-এর ক্যাগ রিপোর্ট দেখুন।’ এরপরই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
বিতর্ক উস্কে দিয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। সেখানে একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বহুচর্চিত ২০০৯-১০ সালের ক্যাগের রিপোর্টের একটি অংশ এটি। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ২০০৯ ও ২০১০ সালের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, ২০০৯ ও ২০১০ সালের সহ শিক্ষক নিয়োগ, ২০১০ সালের ক্লার্ক নিয়োগ, ২০১০ সালের গ্রুপ ডি নিয়োগ আর ২০১০ সালের লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ, সবেতেই অনিয়ম অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে।
ব্রাত্য এদিন আরও বলেন, ‘শ্বেতপত্র প্রকাশ করব বলতেই সিপিএম হুমকি দিচ্ছে। চ্যালেঞ্জ করছে। কী বলতে চায় সিপিএম? গতকালই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল রেজ্জাক মোল্লা বলেছেন, হোলটাইমারদের স্ত্রীদের চাকরি বাঁধা থাকত। ওঁর পরিবারের লোকেরাও চাকরি পেয়েছে।’
তবে ব্রাত্যর দাবি, তৃণমূল ‘বদলা নয় বদল চেয়েছিল। সে কারণেই বাম আমলের এই সব চাকরি নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়নি।