Bratya Basu: ‘আমি তো আতঙ্কে ছিলাম’, দুর্নীতিতে টলি-যোগ সামনে আসতেই কাকে ফোন করেন ব্রাত্য

সুমন মহাপাত্র | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 24, 2023 | 4:28 PM

Bratya Basu: পরিচালকদের সতর্ক থাকার কথা বলেছেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকই নয়।

Bratya Basu: আমি তো আতঙ্কে ছিলাম, দুর্নীতিতে টলি-যোগ সামনে আসতেই কাকে ফোন করেন ব্রাত্য
সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি

Follow Us

কলকাতা : কুন্তল ঘোষের টাকায় বনি সেনগুপ্তের গাড়ি, অয়ন শীলের টাকায় আস্ত ছবি, তাতে আবার ‘বান্ধবী’ শ্বেতার অভিনয়। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে একেবারে সরাসরি জড়িয়ে গিয়েছে টলিউডের নাম। প্রশ্ন উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা কি বিনিয়োগ করা হয়েছে বাংলা ছবি বা মিউজিক ভিডিয়োতে? যাঁরা সে সব ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, তাঁদেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কের কথা জানালেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মন্ত্রী হলেও ব্রাত্যর আরও একটি পরিচয় হল, অভিনেতা বা পরিচালক। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, বাংলা ছবির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির নাম জড়ানোয় ভয় পেয়েছিলেন তিনিও। তিনি নাকি ফোনও করেছিলেন পরিচালককে।

এদিন ব্রাত্য বলেন, ‘আমি তো আতঙ্কে ছিলাম। কোন কোন ছবিতে অভিনয় করেছি, মনে নেই। শেষ যে ছবিতে অভিনয় করেছি, তার পরিচালককে ফোন করলাম। তিনি বললেন, প্রযোজন বাংলাদেশি। ভাবলাম যাক বাঁচা গিয়েছে। আদতে পরিচালক বা অভিনেতাদের পক্ষে সত্যিই বলা সম্ভব নয় যে প্রযোজকদের টাকার উৎস কী।’

একই সঙ্গে পরিচালকদের সতর্ক থাকার কথা বলেছেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকই নয়। প্রযোজকদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেই ঢুকে পড়েছেন। সে ব্যাপারে পরিচালকদের সতর্ক থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীল সম্পর্কে তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলা ছবিতে টাকা ঢেলেছিলেন তিনি। তাঁর প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী, যিনি অয়নের বান্ধবী বলেই দাবি করা হয়। ইডি-র দাবি, শ্বেতা নাকি যে পরিমাণ পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, তা অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীও পান না। তবে শ্বেতা দাবি করেন, তিনি কোনও পারিশ্রমিক নেননি, বদলে একটি গাড়ি ব্যবহার করতেন।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেন, বাংলা সিনেমার বাজার খুবই সংকীর্ণ। বাণিজ্যিক ছবির বাজারও কমেছে। তাঁর মতে, মূলধারার ছবি বা মাল্টিপ্লেক্সের ছবি মিলেমিশে গিয়েছে। সব ধরনের ছবিই মার খাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিকে উজ্জীবিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একগুচ্ছ প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

Next Article