কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্য গ্রহণ করেনি। বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রশ্নের জবাবে বিধানসভায় বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানতে চান, আদৌ কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? হুমায়ুন কবীরের প্রশ্নের জবাবে বিধানসভায় বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্য গ্রহণ করেনি।”
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, এটা শিক্ষানীতির ছোট অংশ। চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু না-হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়তেন। ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স রেখে দিলে পড়ুয়াদের স্বার্থ বিরোধী হত, যা বামেদের সময় প্রাথমিক থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়ার মতো।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিউ এডুকেশন পলিসি রাজ্য সরকার গ্রহণ করেনি। এর মধ্যে অনেকগুলি বিষয় আছে, “আমরা খতিয়ে দেখেছি। এর মধ্যে একটা ছোট অংশ শুধুমাত্র ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স আমরা গ্রহণ করেছি। জোর করে তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স রেখে দিলে সমস্যায় তো পড়তে হত ছাত্র-ছাত্রীদের।”
ব্রাত্যর বক্তব্য, সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে যেহেতু চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ত। ব্রাত্য বিধানসভায় বলেন, “বামফ্রন্ট সরকারের মতন জোর করে ইংরেজি তুলে দেওয়া অথবা ব্রিজ কোর্স চালু করে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যায় ফেলতে চাইনি।”
ব্রাত্যর কথায়, সে কারণেই রাজ্যে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা পোর্টাল রয়েছে।
মাস দেড়েক আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য একটি আলাদা স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করেছে। সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভাল ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনার পথে হাঁটছে দেশ। সিলেবার থেকে শুরু করে পঠনপাঠনের ধরন, সবেতেই বদল আসতে চলেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নের জন্য দুটি নতুন পোর্টালও চালু করে ইউজিসি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে একমত নয় রাজ্য। এদিন বিধানসভায় সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।