Bye-Election for Manicktala: মানিকতলায় উপনির্বাচন কবে, সুপ্রিম কোর্টে কী বলল নির্বাচন কমিশন?

Bye-Election for Manicktala: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন তৃণমূল বিধায়ক সাধন পান্ডে। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে কেন্দ্রটি এখন বিধায়ক শূন্য। কিন্তু এই কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচন করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে কী বলল তারা?

Bye-Election for Manicktala: মানিকতলায় উপনির্বাচন কবে, সুপ্রিম কোর্টে কী বলল নির্বাচন কমিশন?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2024 | 12:53 PM

নয়া দিল্লি: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন তৃণমূল বিধায়ক সাধন পান্ডে। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে কেন্দ্রটি এখন বিধায়ক শূন্য। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের বিধান বলছে, কোনও বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু, সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর, দুই বছর কেটে গেলেও মানিকতলা কেন্দ্রটি এখনও বিধায়ক শূন্য। কারণ, সাধন পান্ডের ২০২১ সালের নির্বাচনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। এই প্রেক্ষিতে উপ-নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সেই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সোমবার (৬ মে), সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মানিকতলা আসনের উপনির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যে নির্বাচনী পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে তারা উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু দে নামে এক ব্যক্তি। তবে, হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনী পিটিশন মুলতুবি থাকবে, উপ-নির্বাচন করা যাবে না। এরপর এই মামলা পৌঁছয় শীর্ষ আদালতে। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে, কল্যান চৌবের নির্বাচনী পিটিশনের দ্রুত শুনানির জন্য অনুরোধ করা হয় হাইকোর্টকে। কিন্তু, এই মামলার শুনানি বেশ কয়েকবার স্থগিত হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টে, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায়, কল্যাণ চৌবে মামলার কার্যধারা বিলম্বিত করার লক্ষ্যে ‘সম্ভাব্য সকল কৌশল’ অবলম্বন করছে। এমনকি, তাঁর আইনজীবীরাও কোনও না কোনও মিথ্যা অজুহাতে শুনানি মুলতবি রাখতে চাইছে।

এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানির তারিখে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কল্যাণ চৌবেকে। আদালত আরও বলেছে, হাজিরা না দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য পরোয়ানা-সহ কোন কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আবেদনকারীদের পক্ষে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বরিষ্ঠ আইনজীবী দেবদত্ত কামাত। তিনি জানান, হাইকোর্টের কল্যাণ চৌবের নির্বাচনী পিটিশনের পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মে। ততদিন পর্যন্ত নির্বাচনের দাবিতে হওয়া মামলাটি বিচারাধীন রাখার জন্য শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি আরও জানান, ১ জুন উপনির্বাচন হবে। ওইদিনই মানিকতলার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যেতে পারে। এরপরই, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, নির্বাচনী পিটিশন প্রত্যাহার যেদিন করা হবে, ওই দিনই মানিকতলা কেন্দ্রটি স্পষ্টভাবে বিধায়কশূন্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। তাই, নির্বাচনী পিটিশনটি প্রত্যাহার করলে তবেই মানিকতলায় উপনির্বাচন করা সম্ভব।

সব পক্ষের যুক্তি শুনে, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ, কলকাতা হাইকোর্টকে নির্বাচনী পিটিশনের মামলায় একটি উপযুক্ত আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। বেঞ্চ আরও বলেছে, এটি নির্বাচনী পিটিশন প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ না করা এবং তা খারিজ করার ক্ষেত্রে কোনও ‘প্রতিবন্ধকতা’ তারা দেখতে পায়নি।