RG Kar Case: খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরও আশঙ্কা, ‘দেরি হলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে’

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 13, 2024 | 1:43 PM

RG Kar Case-High Court: আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, দেহ উদ্ধারের পর ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বাড়িতে জানানো হয় যে মেয়ে অসুস্থ। তার ১৫ মিনিট পর বলা হয় আত্মহত্যা করেছে। তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর দেহ দেখতে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

RG Kar Case: খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরও আশঙ্কা, দেরি হলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়, প্রশ্ন উঠেছে তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে গ্রেফতারি নিয়েও। এবার আরজি-কর কাণ্ডে প্রশ্ন তুললেন খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কেন তদন্তে সময় লাগছে, কেন মৃতার বাবা-মা’কে অপেক্ষা করানো হয়েছিল, রাজ্যকে সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মঙ্গলবার।

‘দেরি হলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে’

প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, “আশঙ্কা করা হচ্ছে, যত দেরি হবে, ততই প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে।”

এরপর রাজ্যের তরফে ২৪ ঘণ্টা সময় চাওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে চায় রাজ্য।

এক মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “কেস ডায়েরি আনা হোক। সেটাই এই মামলার হার্ট।” এই প্রসঙ্গে কামদুনির ঘটনার কথা তুলে আইনজীবী বলেন, “কোনও রিপোর্টের দরকার নেই। কেস ডায়েরি দরকার।”

“এটা কি একজনের পক্ষে সম্ভব?”

আইনজীবীর বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন উল্লেখ করেন, ময়নাতদন্তের সময় মৃতার বাবা, মা উপস্থিত ছিলেন। আইজীবীর দাবি, এটা একজনের কাজ নয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়নি বাবা-মায়ের। প্রধান বিচারপতিও বলেন, ‘প্রশ্ন উঠছে এটা একজনের পক্ষে সম্ভব কি না।’

রাজ্যের দাবি, পরিবারের যা যা দাবি ছিল, সব মেনে নেওয়া হয়েছে। কিছু লুকনো হচ্ছে না।

অন্যদিকে, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি দাবি করেন, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবা-মা’কে জানানো হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এখন বলা হচ্ছে সিবিআই তে আপত্তি নেই। আশঙ্কা করছি তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে।”

সহানুভূতি নিয়ে দেখুন, জেলবন্দি রোগীর মতো আচরণ করবেন না: প্রধান বিচারপতি

আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, দেহ উদ্ধারের পর ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বাড়িতে জানানো হয় যে মেয়ে অসুস্থ। তার ১৫ মিনিট পর বলা হয় আত্মহত্যা করেছে। তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর দেহ দেখতে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

বিকাশ ভট্টাচার্যের আরও অভিযোগ, পুলিশ বলেছিল, “এই বিষয়টা মিটমাট করে নেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাত দিন পর সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়ার কথা বলেছেন। চিটফান্ড-কাণ্ডেও তৎকালীন পুলিশ কমিশনার নিজেই প্রমাণ নষ্ট করেছিলেন। এখানেও তাই হবে। তাই এই মুহূর্তে সিবিআই হোক।”

প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “ওই নির্যাতিতা সিস্টেমের অঙ্গ ছিলেন। কোনও রোগী ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুর পর তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন অভিভাবককে? জেলবন্দি রোগীর মতো আচরণ করবেন না। একটু সহানুভূতি নিয়ে দেখুন।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে যদি আত্মহত্যা বলা হয়ে থাকে, তাহলে কিছু মিসিং আছে।”

Next Article