Calcutta High Court: ‘বহরমপুরের ভোট পিছিয়ে দিতে বলব’, কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

Ramnavami Case in High Court: গত ১৭ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ থেকে সামনে আসে অশান্তির খবর। ঘটনার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপিই অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Calcutta High Court: 'বহরমপুরের ভোট পিছিয়ে দিতে বলব', কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2024 | 4:28 PM

কলকাতা: আগামী ১৩ মে, লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। আর তার আগেই কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের। মঙ্গলবার রামনবমীর মিছিল সংক্রান্ত মামলায় বহরমপুরের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, একটা অনুষ্ঠান যদি শান্তিপূর্ণভাবে করা না যায়, তাহলে সেখানে ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই। গত সপ্তাহে বুধবার রামনবমী পালিত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এরপরই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে অশান্তির খবর।

হাইকোর্ট অনুমতি দেওয়ার পরই রামনবমীর দিন মিছিলের আয়োজন করা হয় একাধিক জায়গায়। সেই অভিযোগ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা হয়। বুধবার মামলার শুনানিতে সেই অভিযোগ নিয়ে সওয়াল-জবাব চলে। রাজ্য সরকার জানায়, রামনবমীতে ছোটখাটো কয়েকটি অশান্তি ছাড়া আর তেমন কিছু হয়নি। এ কথা শুনেই বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব যে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে মানুষ ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই।”

এরপর রাজ্যকে হলফনামা আকারে ঘটনার দিনের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রধান বিচারপতির উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলি চাইলে হলফনামা দাখিল করতে পারে। তবে এই অশান্তির প্ররোচনা কে দিল? সেই প্রশ্ন এদিন তুলেছে হাইকোর্ট। পরপর দু’বছর রামনবমী ঘিরে অশান্তির খরব সামনে এসেছে। এতেই বিরক্ত প্রধান বিচারপতি।

হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রত্যেকের অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। সর্বত্র সন্ত্রাসের প্ররোচণা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় এই পর্যবেক্ষণ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।”