কলকাতা: দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোর আয়োজন করতে চেয়েও মামলা গড়াল হাইকোর্টে। দুর্গাপুজোয় প্রশাসনের তরফে অনুমতি না পাওয়া, আদালতে মামলা করতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার কালীপুজোর সময়েও সেই একই ছবি। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় একটি কালীপুজোর অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ পুজোর উদ্যোক্তারা। এই এলাকায় দুর্গাপুজোর সময়েও পুর প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় মামলার জল গড়িয়েছিল আদালতে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পুজোর অনুমতি মিলেছিল। এবার শর্তসাপেক্ষে ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের কালীপুজোর আয়োজনের অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। উল্লেখ্য, মহেশতলার এই পুজো কমিটি যেখানে কালীপুজোর আয়োজন করতে চাইছে, সেটি হল একটি চিল্ড্রেনস পার্ক। পুর প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় কালীপুজো করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পুজোর উদ্যোক্তারা। আজ ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, পুজোর কাজে চিল্ড্রেনস পার্কের ৪০০ বর্গফুটের ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করা যাবে। ১০ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করতে পারবে পুজো কমিটি। তবে একইসঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি করার সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ১৫ নভেম্বরের পর ওই জমি আবার ফাঁকা অবস্থায় পুর প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
পুজো কমিটির তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সন্দীপন দাস ও ইন্দ্রনীল মুন্সী। তাঁদের বক্তব্য, ওই পার্কে গত ৭০ বছর ধরে এলাকাবাসীরা দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবার দুর্গাপুজোর সময়ে পুর প্রশাসনের থেকে অনুমতি মেলেনি। পরে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের অনুমতি মেলে। এবার কালীপুজোর সময়েও পুর প্রশাসনের তরফে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না বলে আদালতে অভিযোগ জানান তাঁরা।
যদিও হাইকোর্টে পুর প্রশাসনের বক্তব্য, ওই চিল্ড্রেনস পার্কে একটি নির্মাণ কাজ চলছে। তাই পুর প্রশাসনের থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত এদিন শর্তসাপেক্ষে কালীপুজোর আয়োজনের অনুমতি দিল হাইকোর্ট।