কলকাতা : বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছতে হাইটেনশন লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য ফরাক্কায় জমি নিতে গিয়ে সমস্যার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য আদানি সংস্থাকে (Adani Group) মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে হবে। মঙ্গলবার আদানি গোষ্ঠীকে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কারণ, ঝাড়খণ্ডের থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর ক্ষেত্রে ফরাক্কায় খুঁটি পোতার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে সংস্থা। তাই সেখানে কোনও সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তাও দেবে রাজ্যই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালতের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কৃষকদের জমি দেওয়ার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যাপারেও মুর্শিদাবাদের জেলাসাশকের (District Magistrate of Murshidabad) কাছে আবেদন করতে হবে। তিনিই ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
যদিও ফরাক্কায় ওই বিদ্যুৎ সংস্থার জমি কেনা নিয়ে বিগত বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই গোলমাল শুরু হয়। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নতুন আইন মেনে জমি অধিগ্রহণ করুক, এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন লুৎফর রহমান নামে এক কৃষক।মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট আদানি সংস্থার জমি কেনা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরাক্কায় বিদ্যুৎ সংস্থার হাইটেনশন তারের লাইন ঘিরে গত রবিবার তুলকালাম কাণ্ড হয়ে গিয়েছে। হাইটেনশনের তার যাওয়ার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার। এর জন্য মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার উপর দিয়ে হাইটেনশনের তার নিয়ে যাওয়া হবে। সেই হাইটেনশন তারের খুঁটি বসানোর কাজ নিয়েই গণ্ডগোল। এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, এত ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে কীভাবে হাইটেনশনের তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তারই প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।